ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার নিয়ে মেসি। পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ছবি: টুইটার
শেষ পর্যন্ত জিতলেন লিয়োনেল মেসিই। আরও এক বার হারিয়ে দিলেন কিলিয়ন এমবাপেকে এবং সেই সঙ্গে করিম বেঞ্জিমাকেও। ফিফার বিচারে এই বছরের সেরা ফুটবলার হলেন লিয়ো।
গত ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করেছেন মেসি। ফাইনালে এমবাপের ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। মেসি জোড়া গোল করেন। এমবাপে হ্যাটট্রিক করেন। আড়াই মাস আগেও মেসির কাছে রানার-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল এমবাপেকে। এ বারও তিনি দ্বিতীয়ই হলেন।
মেসি এই পুরস্কার জেতার ক্ষেত্রে ৫২ পয়েন্ট পেয়েছেন। এমবাপ পেয়েছেন ৪৪ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা বেঞ্জিমার পয়েন্ট ৩৪। এর পর রয়েছেন লুকা মডরিচ (২৮), আরলিং হালান্ড (২৪), সাদিয়ো মানে (১৯), জুলিয়ান আলভারেজ (১৭), আশরাফ হাকিমি (১৫), নেমার (১৩), কেভিন দি ব্রুইন (১০), ভিনিসিয়াস জুনিয়র (১০), রবার্ট লেওয়ানডস্কি (৭), জুড বেলিংহ্যাম (৩), মহম্মদ সালা (২)।
এই নিয়ে মোট সাত বার ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কার পেলেন মেসি। ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯ সালের পর এ বার জিতলেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে ফিফা একক ভাবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। তার আগে অন্য একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে এই পুরস্কার দিত ফিফা।
বিশ্বকাপ ফাইনালে মেসির জোড়া গোল এবং এমবাপের হ্যাটট্রিকের সুবাদে ১২০ মিনিট পর্যন্ত খেলার ফল ছিল ৩-৩। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনা ৪-২ গোলে হারায় ফ্রান্সকে। বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার হয়ে মেসি সোনার বল পান। তিনি মোট ৭টি গোল করেন। বেশ কিছু রেকর্ড ভেঙে দেন। এমবাপে ৮টা গোল করে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা হন এবং সোনার বুট জিতে নেন।
তৃতীয় স্থানে থাকা ফ্রান্সের বেঞ্জিমা চোটের জন্য বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি। গত মরসুমে তিনি রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং স্প্যানিশ লিগে চ্যাম্পিয়ন করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy