মধ্যমণি: মেসিকে রোখার চেষ্টা কানাডার ডিফেন্ডারদের। —ফাইল ছবি।
কোপা আমেরিকায় শুক্রবার ২-০ গোলে কানাডাকে হারিয়ে অভিযান শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। সঙ্গত কারণেই ফুটবলাররা উল্লাসে মেতে ওঠেন। কিন্তু সতীর্থদের সেই আনন্দোৎসবকে স্বাগত জানাননি লিয়োনেল মেসি। আর্জেন্টিনা অধিনায়ক জানিয়েছেন, সবেমাত্র একটি ধাপ অতিক্রম করেছে দল। এখনও চ্যাম্পিয়ন হয়নি। ফলে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রেখে লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে ঠান্ডা মাথায়।
শুক্রবার জয়ের পরে সাজঘরে আনন্দে মেতে ওঠেন ইউলিয়ান আলভারেস, লাওতারো মার্তিনেস-সহ বাকিরা। দলের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেসি বলেছেন, ‘‘এমন মাঠে কানাডার বিরুদ্ধে জয় নিঃসন্দেহে ইতিবাচক, তবে নিজেদের আরও শান্ত রাখতে হবে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মনে রাখা দরকার, আমরা কিন্তু এখনও চ্যাম্পিয়ন হইনি। তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।’’
ভারতীয় সময় বুধবার ভোরে চিলির বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে আর্জেন্টিনার। ম্যাচ হবে নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে। প্রথম ম্যাচে কৃত্রিম ঘাসের স্টেডিয়ামে খেলা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন কোচ লিয়োনেল স্কালোনি। এ বারও মাঠের ঘাস কেমন হবে, তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে আর্জেন্টিনা শিবিরে। দেশের সংবাদমাধ্যমকে স্কালোনি বলেছেন, ‘‘ফুটবলাররা কোনও কারণে চোট পেলে আমার দুশ্চিন্তা বাড়বে। তবে আয়োজক কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে বলার কিছু নেই। ফুটবলারদের নির্দেশ দিয়েছি, মাঠে নেমে বাড়তি ঝুঁকি নেওয়ারপ্রয়োজন নেই।’’
মাঠ নিয়ে মুখ খুলেছেন মেসি-ও। তিনি বলেছেন, ‘‘কৃত্রিম ঘাসের মাঠে আমাদের খেলতে সমস্যাই হয়েছে। আমরা যে ধরনের পাসিং নির্ভর ফুটবল খেলে থাকি, সেই ছন্দটা ছিল না প্রথম ম্যাচে। বরং কানাডা খুব সহজেই আমাদের অনেক আক্রমণ নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। তবে তার পরেও দুটো গোল নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। এতে বোঝা গিয়েছে, কাতার বিশ্বকাপের মতোই মনোভাব রয়েছে দলের।’’
আগামী মঙ্গলবার মেসির ৩৭তম জন্মদিন। তার পরের দিনই নেমে পড়তে হবে চিলি-দ্বৈরথে। কিন্তু তা নিয়ে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বাড়তি কোনও উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘জাতীয় দলের ফুটবলারদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করার সুযোগ পাচ্ছি। এটাও আমার কাছে এই জন্মদিনের দারুণ একটা উপহার হতে চলেছে। তবে এই দলের সকলেই আবারও চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া। ওদের এই মানসিকতা অটুট রাখার দায়িত্ব আমার।’’
প্রথম ম্যাচে তাঁর গোল না পাওয়া নিয়ে মেসি বলেছেন, ‘‘আমিও বেশ কয়েকটা গোল করার মতো সুযোগ পেয়েছিলাম কিন্তু কৃত্রিম ঘাসের মাঠে শারীরিক ভারসাম্য রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই পরে ঠিক করি, সতীর্থদের জন্য গোলের বল তৈরি করে দিতে হবে। আমার গোলের চেয়েও দলের জয় গুরুত্বপূর্ণ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy