বিশ্বকাপ জিতেছেন লিয়োনেল মেসি। তার ৪৩ দিন পরে অনুশোচনা হচ্ছে তাঁর। মনখারাপ লিয়োর। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপ জেতার এত দিন পরে লিয়োনেল মেসির মনে হচ্ছে, কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে তিনি যে আচরণ করেছিলেন সেটা করা তাঁর উচিত হয়নি। মেসির মতে, খেলার মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। কাউকে অপমান করা, বা অসম্মান করার উদ্দেশ্যে তিনি কিছু করেননি।
বুয়েনস আইরেসের একটি রেডিয়ো স্টেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেদারল্যান্ডস ম্যাচের প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মেসি। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে গোল দেওয়ার পরে দু’কানের দু’দিকে হাত দিয়ে বিশেষ উল্লাস করেছিলেন মেসি। নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফান হালের দিকে তাকিয়ে সেই উল্লাস করেছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে ফান হালের কাছে গিয়ে কিছু বলতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
সেই প্রসঙ্গে মেসি বলেছেন, ‘‘যেটা করেছিলাম সেটা ঠিক করিনি। তার পরেও যেটা হয়েছিল সেটা ভাল হয়নি। খেলার মধ্যে প্রচুর উন্মাদনা থাকে। ফুটবলাররা চাপে থাকে। তার মধ্যে এমন কিছু ঘটে যেতেই পারে। কিন্তু আমার সংযত থাকা উচিত ছিল।’’
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা হওয়ার পরে মেসি যখন সাক্ষাৎকারের দিচ্ছিলেন, তখন পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন নেদারল্যান্ডসের গোলদাতা উইঘর্স্ট। সাক্ষাৎকার মাঝপথে থামিয়েই মেসি বলে ওঠেন, “এ দিকে তাকিয়ে কী দেখছ নির্বোধ? যাও, এখান থেকে সরে যাও।” আসলে নেদারল্যান্ডসের শারীরিক ফুটবল একেবারেই পছন্দ হয়নি মেসির। তাঁকেও বহু বার ফাউলের শিকার হতে হয়েছে। একের পর এক হলুদ কার্ড দেখিয়ে ম্যাচ আরও উত্তপ্ত করে তোলে রেফারি। তাই হয়তো ম্যাচের পরেও নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি মেসি।
সেই ঘটনা নিয়েও মুখ খুলেছেন মেসি। তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপে আমরা সব থেকে খারাপ ম্যাচ খেলে উঠেছিলাম। গোটা ম্যাচে ১৫টা কার্ড দেখানো হয়েছিল। এমনিতেই রেফারি ও প্রতিপক্ষের উপর রেগে ছিলাম। তাই সেই সময় ওদের ফুটবলারকে দেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আমি চাই না কারও কাছে আমার এই রূপ প্রকাশ পাক। কিন্তু তখন নিজেকে আটকাতে পারিনি।’’
ম্যাচের শেষ দিকে দুই দলের ফুটবলাররা বার বার ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। তাতে ভূমিকা ছিল রেফারিরও। একের পর এক হলুদ কার্ড দেখানোর কারণে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক সময় আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের সদস্যরা একে অপরের বিরুদ্ধে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। আর্জেন্টিনার মার্কোস আকুনা একটি ফাউল মানতে না পেরে সপাটে নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে শট মারেন। তার পরেই দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। মেসি নিজেও নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফান হালের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করেন। পেনাল্টি বাঁচিয়ে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তোলার পর গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস ডাচ কোচকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। সেই সব ঘটনা নিয়ে এখন অনুশোচনা করছেন মেসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy