ডার্বিতে গোল করে থেমে থাকতে চান না জামশিদ-পুত্র।
সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসাবে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে হ্যাটট্রিক করলেন কিয়ান নাসিরির। প্রথম বার ডার্বি খেলতে নেমেই হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। ২১ বছর বয়সে ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করার পর কিয়ান জানালেন তাঁর সামনে কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার জামসিদ নাসিরির ছেলে কিয়ান বলেন, “ডার্বিতে নেমে হ্যাটট্রিক করেছি এটা এখনও আমার কাছে স্বপ্নের মতো। ডার্বিতে গোল করার স্বপ্ন সবারই থাকে। আমারও ছিল। তা সত্ত্বেও বলছি, আমি মূলত উইঙ্গার ও স্ট্রাইকার, গোল করাটা আমার কাজ। সেটাই করেছি। ইতিহাস নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না।”
এ বার কোন লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবেন কিয়ান? ডার্বির নায়ক বলেন, “আমার এখন একটাই লক্ষ্য। আরও বেশি সময় মাঠে থাকতে চাই আমি। কোচের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে, ডার্বির মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি আমার উপর ভরসা রেখেছেন। সে জন্যই আমি গোল করতে পেরেছি।” কিয়ানের মতে এটিকে মোহনবাগান অত্যন্ত শক্তিশালী দল। এখানে তাঁর মতো জুনিয়র ফুটবলারের সুযোগ পাওয়া কঠিন। সেই কারণেই আরও পরিশ্রম করতে চান কিয়ান।
ডার্বিতে গোল করে থেমে থাকতে চান না জামশিদ-পুত্র। পরের ম্যাচে সুযোগ পেলেই আরও ভাল খেলতে চান তিনি। তবে এই শনিবারটি তাঁর কাছে স্বপ্নের। তিনটি গোল করেছেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। নাসিরি বলেন, “তিনটি গোলের মধ্যে দ্বিতীয়টাই সেরা। কারণ ওই গোলেই আমরা এগিয়ে গিয়েছি। সবুজ-মেরুন জার্সিতে জুনিয়র ডার্বিতে খেলেছি। কিন্তু সিনিয়র দলে প্রথম। হোটেল থেকে মাঠে আসার সময় কোনও লক্ষ্য নিয়ে আসিনি। ভেবেছিলাম এ রকম একটা ম্যাচে আমি কী সুযোগ পাব? দল যখন পিছিয়ে, তখন আমি নেমেছি। তবে আমার উপর কোনও চাপ ছিল না। গোল করব ভেবে নামিনি। লক্ষ্য ছিল একটাই, তিন পয়েন্ট।”
সেই তিন পয়েন্ট পেয়েও অবশ্য উৎসবে মাততে রাজি নন কিয়ান। তিনি বলেন, “উৎসব করার মতো কিছু হয়নি। তাই সে রকম কেউ কিছু করিনি। ডার্বিতে জিতে অনেক রাতে হোটেলে ফিরে খাবার খেয়ে সবার মতো আমিও শুয়ে পড়েছি। বাড়ির কারও সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। রবিবার মা ও পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে বাবার সঙ্গে কথা হয়নি। বাবা মাঠে গিয়েছিলেন ট্রেনিং করাতে। আমার বাবার কোনও খেলা আমি দেখিনি। শুনেছি উনিও ডার্বিতে অনেক গোল করেছেন। বাবার সঙ্গে মাঠে প্র্যাকটিস করেছি। বাবা কখনও কোনও লক্ষ্য বেঁধে দেননি। উনি শুধু বলেন, “পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই।”
ম্যাচের আগে ছেলের সঙ্গে কথা হয় না বলেই জানিয়েছিলেন জামশিদ। সেটাই বললেন তাঁর পুত্র। নাসিরি বলেন, “ম্যাচের আগে বাবার সঙ্গে কথা হয় না। তিন জন কোচের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ফেরান্দো, আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস এবং টিয়েন ল। এই হ্যাটট্রিক আমি উৎসর্গ করতে চাই পুরো দলকে।”
ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করে ভাইচুং ভুটিয়া, এডে চিডিদের সঙ্গে এক লাইনে চলে এলেন কিয়ান। তিনি বলেন, “ওঁরা তারকা ফুটবলার। ছোটবেলা থেকেই ওঁদের নাম শুনেছি। আমি তো একে বারেই জুনিয়র। ওঁদের কাছে পৌঁছতে পারলে ভাবব কিছু করেছি। আমার স্বপ্নের ফুটবলার লিয়োনেল মেসি। সুযোগ পেলেই দেখি মেসির খেলা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy