সেমিফাইনালের প্রথম লেগে গোলের সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না মনবীর। ছবি: টুইটার।
আইএসএল সেমিফাইনালের প্রথম লেগের খেলায় মন ভরাতে পারল না এটিকে মোহনবাগান। প্রথমার্ধে দাপট ছিল মূলত হায়দরাবাদ এফসির। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ কিছুটা বাড়ায় জুয়ান ফেরেন্দোর ছেলেরা। তাতেও অবশ্য লাভের লাভ তেমন হল না। গোলরক্ষক বিশাল কাইত ঢাল হয়ে না দাঁড়ালে বড় ব্যবধানে হারতে পারত সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
বিশাল অন্তত তিন বার দলের নিশ্চিত পতন রোধ করলেন। যদিও গোল করার নিশ্চিত সুযোগ বৃহস্পতিবারের ম্যাচে প্রথম পেয়েছিল মোহনবাগানই। প্রথমার্ধের ৩৮ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসের ফ্রিকিক থেকে হায়দরাবাদ বক্সের মধ্যে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন প্রীতম কোটালরা। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন বোর্হা হেরেরা। তাঁর শট গিয়ে লাগে বারে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে হায়দরাবাদের একটি শট অল্পের জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়। শটটি গোলের মধ্যে থাকলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারত তারা। এর আগে ১১ মিনিটে হায়দরাবাদের জোয়েল চাইনিজের হেড অনবদ্য দক্ষতায় রুখে দেন বিশাল।
প্রথমার্ধে মোহনবাগান মূলত প্রতিআক্রমণমূলক ফুটবল খেলছিল। তাতে নিজেদের বক্সে চাপ বাড়তে থাকায় দ্বিতীয়ার্ধে পরিকল্পনা বদল করেন সবুজ-মেরুন কোচ। রক্ষণাত্মক ফুটবল ছেড়ে প্রতিআক্রমণাত্মক ফুটবলের পথে হাঁটেন তিনি। তাতে খেলাও অনেক বেশি উপভোগ্য হল। শক্তিশালী হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ হওয়ায় শুরুতে হয়তো কিছুটা সাবধানী ছিলেন ফেরেন্দো। সবুজ-মেরুন শিবির খেলার গতি বাড়ানোয় দ্বিতীয়ার্ধের কিছুটা গাজোয়ারি ফুটবলও দেখা গেল হায়দরাবাদের ফুটবলারদের মধ্যে। বাড়ল ফাউলের সংখ্যা। তার মধ্যেই ৫৫ মিনিটে মহম্মদ ইয়াসিরের শট দ্বিতীয় পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তাঁর শট গোলের মধ্যে থাকলে পিছিয়ে পড়ত মোহনবাগান। কারণ ইয়াসিরের শটের নাগাল পাননি বিশাল। আবার ৬১ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মনবীর সিংহ। মোহনবাগানের রক্ষণকে প্রায় পুরো সময়ই ব্যস্ত রাখলেন হায়দরাবাদের ওগবেচে।
ফুটবল বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাঝমাঠের দখল যে দল নিজেদের পায়ে রাখতে পারে, সেই দলের জয়ের সম্ভাবনা থাকে বেশি। বৃহস্পতিবারের ম্য়াচেও সেটাই হয়েছে। খেলার শুরু থেকেই মাঝমাঠের দখল নিয়ে নেয় হায়দরাবাদের ফুটবলাররা। স্ববাবতই তাঁদের দাপটই ছিল বেশি। মোহনবাগান বক্সে একের পর এক আক্রমণ তুলে এনেও অবশ্য গোলের মুখ দেখতে পারল না হায়দরাবাদ। কিছুটা গোলমুখে নিজেদের ব্যর্থতায়। আর বাকিটা মোহনবাগান গোলরক্ষকের দুরন্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচ হেরেও যেতে পারত এটিকে মোহনবাগান। বিশেষ করে প্রথমার্ধে সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের ছন্নছাড়া দেখিয়েছে। খেলার মধ্যে তেমন পরিকল্পনাও চোখে পড়েনি। প্রতিপক্ষের চাপের মুখে ভুল পাস করেছেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। হায়দরাবাদের আক্রমণের মুখে একাধিক বার ফাঁক তৈরি হয়েছে মোহনবাগান রক্ষণে। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের আগে দুর্বলতার জায়গাগুলি শুধরে নেওয়া দরকার ফেরেন্দোর। না হলে আইএসএল ফাইনাল খেলার স্বপ্ন অধরাই থেকে যেতে পারে।
অ্যাওয়ে ম্যাচ ড্র রাখতে পারায় কিছুটা হলেও সুবিধাজনক জায়গায় থাকল এটিকে মোহনবাগান। দুই লেগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ১৩ মার্চ যুবভারতীতে হবে সেই ম্যাচ। ঘরের মাঠে জয় পেলেই আইএসএলের ফাইনালে পৌঁছে যাবে এটিকে মোহনবাগান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy