জয়ের ধারা বজায় রাখতে চায় ইস্টবেঙ্গল। ছবি: টুইটার
ওড়িশার বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হওয়া মানেই গোলের বন্যা। পড়শি রাজ্যের দলের বিরুদ্ধে দু’বার ৬ গোল খেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এক বার তারা দিয়েছে ৫ গোল, এক বার ৪ গোল। মুখোমুখি সাক্ষাতেও পিছিয়ে ১-৩ ব্যবধানে। এমন একটা দলের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে শুক্রবার খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। পুরনো ইতিহাস কি আবার ফিরবে?
প্রশ্ন শুনে পাত্তাই দিলেন না কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, “গত মরশুমে কী হয়েছে, তা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই। ওরা খুব ভাল দল। ওদের একজন ভাল কোচ আছে, যে জানে কোন ম্যাচে কী ভাবে দলকে খেলাতে হয়। ওদের খেলা দেখেছি। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি। ম্যাচে ক’টা গোল হবে এখনই বলতে পারব না। আশা করি এই ম্যাচেও গোল না খেয়ে জিতব।”
স্টিভনের সংযোজন, “ওদের খেলার কৌশল খুব স্পষ্ট। পিছন থেকে আক্রমণ তৈরি করার চেষ্টা করে। নিজেদের মধ্যে বল রাখতে চায়। ওদের স্প্যানিশ কোচের পাশাপাশি ক্লিফোর্ড মিরান্ডা নামে ভারতীয় কোচও রয়েছেন, যাঁর সঙ্গে অতীতে গোয়ায় কাজ করেছি। ওদের পা থেকে যখন বল চলে যায়, পাল্টা চাপের কৌশল নেয়। ওদের খেলাটা মোটামুটি বুঝতে পেরেছি। আমরাও প্রস্তুত। ওরা বেশি গোল করে কি না, তা নিয়ে ভাবছি না। নিজেদের নিয়ে বেশি ভাবছি। বিপক্ষকে চাপে রাখতে হবে। ভুল করলে চলবে না। সুযোগ কাজে লাগাতে হবে আমাদের।”
আগের ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে হারালেও মাত্র এক গোলে জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। গোল না পাওয়া কি দলের সমস্যা? স্টিভন বলেছেন, “আমরা সব সময়ই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা করি। ঠিক করেই নিয়েছি যে, মাঠে নেমে আগ্রাসী ও গতিময় থাকতে হবে। গত ম্যাচগুলোতে নিশ্চয়ই আমাদের খেলা দেখে সেটা বুঝতে পেরেছেন। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে আমরাই খেলেছিলাম। কেরলে ৭০ মিনিট যথেষ্ট ভাল খেলেছি আমরা। নর্থইস্টের বিরুদ্ধেও ভাল খেলেছি। গত ম্যাচে আমরা টানা ৯০ মিনিট ধরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিতে পেরেছি। ওড়িশার বিরুদ্ধেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আগেও বলেছি আইএসএলে কোনও ম্যাচই সহজ নয়।”
ইস্টবেঙ্গলে বিদেশির পাশাপাশি ভাল খেলছেন দেশি ফুটবলাররা। আগের ম্যাচে নাওরেম মহেশ নজর কেড়েছেন। ভারতীয় নিয়ে গর্বিত স্টিভনও। বলেছেন, “দেশি হোক বা বিদেশি, দলের ছেলেরা ভাল খেলবে এই আশাই করি। যে-ই খেলুক, তাকে উজাড় করে দিতে হবে। ভিপি সুহের খুব ভাল খেলেছে। সেমবোই (হাওকিপ) গত ম্যাচে অবিশ্বাস্য খেলেছে। গোল না করলেও ও সে দিন অনেক কিছু করেছে। মহেশের জন্য আমি খুশি। ওর এখনও অনেক কিছু দেওয়ার বাকি। যে ধারাবাহিকতা ওর রয়েছে, তা ধরে রাখতে পারলে জাতীয় দলেও ডাক পেতে পারে।”
প্রথম দু’-তিনটি ম্যাচ খেলার পর প্রবল সমালোচিত হন সুমিত পাসি। তাঁকে ইদানীং দলে আর রাখছেনই না স্টিভন। কিছু সমস্যা হয়েছে কি? লাল-হলুদ কোচের উত্তর, “কোনও সমস্যা নেই। দলে জায়গা পাওয়ার জন্য ও যথেষ্ট পরিশ্রম করছে। শুরু থেকেই বলছি, আমাদের ২৪-২৫ জন ফুটবলার আছে। যারা সেরা, তারাই খেলবে। যে তার নিজের কাজটা ঠিকমতো বুঝে নিয়ে মাঠে সেটা করে দেখাতে পারবে, সে-ই মাঠে নামার সুযোগ পাবে। যেমন সার্থক এত দিন রাইট ব্যাক হিসাবে খেলেছে। গত ম্যাচে অঙ্কিত খেলল। কালও হয়তো ও খেলবে। কারণ, ওর এটা প্রাপ্য। ও যদি পরের ম্যাচে ভাল খেলতে না পারে, তা হলে ওকেও বসতে হবে। অন্য কেউ খেলবে। এটাই ফুটবল। এটাই ফুটবলের নিয়ম।”
স্টিভন জানিয়েছেন, জর্ডান ও’ডোহার্টি এবং আলেক্স লিমার ওড়িশা ম্যাচে খেলা নিয়ে সমস্যা নেই। তবে জেরিকে চোটের কারণে পাওয়া যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy