শুরুতে দেখে মনে হচ্ছিল, ঘরের মাঠে এটিকে মোহনবাগানকে ছিঁড়ে খাবে কেরল ব্লাস্টার্স। প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই এটিকে মোহনবাগানের গোল লক্ষ্য করে দু’টি শট মারেন কেরলেন ফুটবলাররা। সেই শট থেকে অল্পের জন্য গোল না হলেও ৬ মিনিটের মাথায় পিছিয়ে পড়ে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কিন্তু পিছিয়ে পড়েও হতোদ্যম হয়নি তারা। ধীরে ধীরে খেলায় ফেরে গঙ্গাপাড়ের ক্লাব। পিছিয়ে পড়েও প্রথমার্ধে দু’টি গোল দেন এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলাররা। প্রথমার্ধের বিরতিতে ২-১ গোলে এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে কেরল ব্লাস্টার্স। বিশেষ করে দলের আক্রমণ ভাগের সাহাল আব্দুল সামাদ, আদ্রিয়ান লুনা, ইভান কালুউঝিনিরা দুরন্ত ফুটবল খেলছিলেন। তার ফল মেলে। ৬ মিনিটের মাথায় সামাদের পাস থেকে গোল করে কেরলকে এগিয়ে দেন ইভান। তার পরেই প্রতিআক্রমণ থেকে সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। জনি কাউকোর পাস থেকে লিস্টন কোলাসোর গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায়, কাউকোর অফসাইড নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন:
পিছিয়ে পড়েও লড়াই ছাড়েনি এটিকে মোহনবাগান। দু’প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠতে থাকে তারা। ২৫ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। বাঁ দিক থেকে বক্সে ঢুকে ফাঁকায় থাকা পেট্রাটসের উদ্দেশে বল বাড়ান হুগো বুমোস। গোল করেন পেত্রাতোস। গোল করার পরে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় এটিকে মোহনবাগান। চাপে পড়ে যায় কেরলের রক্ষণ। তার মধ্যেই মাঝেমধ্যে সুযোগ পাচ্ছিল কেরল। ৩২ মিনিটে জিকসন সিংহের হেড পোস্টে লেগে ফেরে। এটিকে মোহনবাগান যখন আক্রমণে উঠছিল তখন যতটা ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল, রক্ষণের সময় ততটাই অসহায় লাগছিল তাদের।
৩৮ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। ডান প্রান্ত ধরে মনবীর সিংহের পাস ধরে বক্সের মধ্যে ঢুকে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করেন কাউকো। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর গোল হয়নি। ২-১ ব্যবধানে সাজঘরে যায় দু’দল।