সুনীল ছেত্রী। ছবি: পিটিআই।
বুধবার সবেমাত্র ভারতীয় দলের অনুশীলন শেষ হয়েছে। বাকিদের কাছে ব্যাপারটা রুটিনের মতোই। কিন্তু তাঁর কাছে আলাদা। ১৯ বছরের কেরিয়ারে জাতীয় দলের হয়ে শেষ অনুশীলনটা বুধবারই হয়ে গেল। কিন্তু তাঁকে দেখে কে বলবে!
বাকিরা যখন বিশ্রাম নিতে এক জায়গায় জড়ো হচ্ছেন, তিনি, অর্থাৎ সুনীল ছেত্রী একটি বল হাতে তুলে নিয়ে পেনাল্টি স্পটে বসিয়ে দিলেন। গোলকিপার বিশাল কাইথকে ইঙ্গিতে ডেকে নিয়ে গোলের মাঝে দাঁড়াতে বললেন। প্রতিটা অনুশীলন শেষে এই জিনিস বাঁধাধরা। সাধারণ অনুশীলন শেষ হলে তিনি পেনাল্টি অনুশীলন করবেনই। সেটা করবেন ক্লান্ত শরীরেই। এমন পরিস্থিতিতে, যেন ১২০ মিনিট খেলার পর টাইব্রেকার নিতে যাচ্ছেন।
চারটি শট নিলেন। চারটিতেই পরাস্ত হলেন বিশাল। সুনীলের মুখে হালকা হাসির রেখা দেখা গেল। হয়তো বা শেষ অনুশীলনে সাফল্য পাওয়ার একটা তৃপ্তি। তবে সব মিলিয়ে বুধবার যা বোঝা গেল, জাতীয় দলের হয়ে শেষ সময়টা পুরোপুরি উপভোগ করে নিয়েছেন তিনি। সব ঠিকঠাক চললে ৬ জুন রাত ৯টার পরেই প্রাক্তন হয়ে যাবেন তিনি। সেই মুহূর্ত আসার আগে ‘ভারতীয় ফুটবলার’ তকমাটা পুরোপুরি উসুল করে নেওয়ার চেষ্টা।
দুপুরে সেই অধিনায়কের চোখেমুখেই ঈষৎ বিরক্তি দেখা গিয়েছিল। এমনিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বেশ হৃদ্যতার। কিন্তু ক্রমাগত অবসর নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কে-ই বা নিজেকে সামলে রাখতে পারেন। ভারত বনাম কুয়েতের মতো ম্যাচের গুরুত্বই ঢাকা পড়ে যাচ্ছিল। তিনি বরাবরের দলনেতা। এমনটা কেনই বা হতে দেবেন। সুনীল তাই বিনম্র স্বরে অনুরোধ করলেন, প্রশ্ন যেন শুধু ম্যাচ নিয়েই হয়।
সুনীল বললেন, “নিজের ভেতরে প্রতি দিন একটা ছোট যুদ্ধ লড়ছি। দয়া করে জিজ্ঞাসা করবেন না কেমন লাগছে। সেটা বলতে চাই না। কুয়েত ম্যাচটা জিততে চাই। এই ম্যাচ জিতলে তৃতীয় রাউন্ডে যাওয়ার আশা রয়েছে। কখনও সেটা পারিনি। কঠিন ম্যাচ হতে চলেছে। সেটা মাথায় রাখছি।”
সুনীলের শূন্যতা ভরাট করা যে সহজ নয় সেটা মানছেন কোচ ইগর স্তিমাচ। তবু পেশাদারিত্বের আবরণে নিজেকে মুড়ে রেখে স্তিমাচ বললেন, “অধিনায়কের শেষ ম্যাচ, এটা জানার পরেই ম্যাচটার গুরুত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। তবু ম্যাচটা ভারত বনাম কুয়েতের। ওটাতেই নজর দিতে হবে এবং যেটা দরকার করতে হবে। আমরা তৈরি।”
গত ১২ মাসে ভারত-কুয়েত একে অপরের বিরুদ্ধে তিন বার খেলেছে। দু’বার সাফে (এক বার ১-১ ড্র এবং ফাইনালে ভারত টাইব্রেকারে জেতে)। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতে এসেছে তারা।
স্তিমাচ বলেছেন, “তিনটি কঠিন ম্যাচ খেলেছি। যে কোনও দল জিততে পারত। কুয়েতের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে জেতা আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে। রক্ষণ দারুণ খেলেছে। বক্সের কাছাকাছি ওদের আসতে দেয়নি। পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করেছি। বৃহস্পতিবারও সেটাই করে দেখাতে চাই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy