ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে নির্বাসিত ফুটবলার। প্রতীকী ছবি
ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে দু’বছর নির্বাসিত হলেন এটিকে মোহনবাগানের প্রাক্তন ডিফেন্ডার আশুতোষ মেহতা। বুধবার রাতের দিকে জাতীয় ডোপ বিরোধী সংস্থা তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। ফলে আগামী দু’বছর ক্লাব বা জাতীয় স্তরে কোনও ম্যাচ খেলতে পারবেন না আশুতোষ। তিনিই আইএসএলে খেলা প্রথম ফুটবলার যিনি ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে নির্বাসিত হলেন।
গত মরসুমে গোয়ায় হয়েছে আইএসএলের সব খেলা। সেখানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আশুতোষের নমুনা নেওয়া হয়। নাডা জানিয়েছে, আশুতোষের নমুনায় মরফিনের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। সবুজ-মেরুনের প্রাক্তন ফুটবলার নাডাকে জানান, তিনি ইচ্ছে করে নিষিদ্ধ ওষুধ নেননি। তবে সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। আশুতোষ দু’বছরের শাস্তি মেনে নিয়েছেন।
তবে বিতর্ক এখানেই থামছে না। আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে আশুতোষ জানিয়েছেন, ব্যথা কমানোর জন্য আইএসএল চলাকালীন তিনি এক সতীর্থের থেকে ওষুধ নেন। সতীর্থই তাঁকে বলেন সেটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ। ওই ওষুধ থেকেই তাঁর শরীরে মরফিন ঢুকেছে বলে জানিয়েছেন আশুতোষ। তবে সেই সতীর্থ কে, তিনি সেই মরফিনযুক্ত ওষুধ নিয়মিত খান কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে নাডা নির্বাসিত করেছিল বাংলার গোলকিপার সুব্রত পালকে। জাতীয় শিবিরে ডোপ পরীক্ষা করার পর সুব্রতের শরীরে নিষিদ্ধ ওষুধের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। তবে পরে সুব্রত প্রমাণ করতে পেরেছিলেন যে, তিনি ইচ্ছে করে নিষিদ্ধ ওষুধ খাননি। নির্বাসনও কমিয়ে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy