ফাইল চিত্র
প্রয়াত হয়েছেন ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ময়দানে। সুভাষের মৃত্যু ফুটবল মহলের অপূরনীয় ক্ষতি বলে মনে করছেন এক সময় তাঁর সঙ্গে খেলা ফুটবলার থেকে শুরু করে তাঁর ছাত্ররা। তবে তিনি ফুটবল প্রেমীদের মনে বেঁচে থাকবেন বলে নিশ্চিত তাঁরা।
সুভাষ যে আর নেই তা মেনে নিতে পারছেন না তাঁর সঙ্গে এবং বিপক্ষে খেলা সুব্রত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘ভৌমিকদা বড় মাপের ফুটবলার ছিলেন। তাঁর না থাকা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। ফুটবল জগতের বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল।’’ একই কথা তাঁর সঙ্গে খেলা আর এক ফুটবলার শ্যাম থাপার গলাতেও। তিনি বলেন, ‘‘সুভাষ চলে যাওয়া ময়দানের অপূরণীয় ক্ষতি।’’ সতীর্থ গৌতম সরকার বলেন, ‘‘সুভাষের মতো ফুটবলারদের মৃত্যু হয় না। সুভাষ বেঁচে থাকবেন ফুটবল প্রেমীদের হৃদয়ে।’’
সুভাষের খুব প্রিয় ছাত্র ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের অ্যালভিটো ডি কুনহা। স্যারের প্রয়ানে শোকাহত তিনি। অ্যালভিটো বলেন, ‘‘ফুটবলার ও ফুটবল কোচের বাইরে এক অতুলনীয় চরিত্র ছিলেন সুভাষ স্যার। শুধু ভাল কোচই নয়, ভাল মানুষ ছিলেন। উনি আমার কাছে পিতৃসম। যখন ছন্দ খারাপ ছিল তখন নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমার দেখভাল করেন। আমার ছন্দ ফেরাতে সাহায্য করেন। যে ভাবে আমাকে সেই সময় সামলেছিলেন, অনেক কম লোকই তা পারে। ভারতীয় ফুটবলের একটা অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।’’ মেহতাব হোসেনের কথায়, ‘‘বড় মাপের কোচ ছিলেন বলেই এত সাফল্য পেয়েছেন। তাঁর খেলানোর পদ্ধতির সঙ্গে মতের মিল না থাকলেও কেউ তাঁর সাফল্যকে উপেক্ষা করতে পারবে না।’’ রহিম নবি আবার মনে করেন, তাঁর ফুটবলার হয়ে ওঠার পিছনে অন্য়তম বড় নাম সুভাষ ভৌমিক।
মোহনবাগানের কর্তা দেবাশিস দত্ত বললেন, “ওটার ম্যান ম্যানেজমেন্ট এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা অতুলনীয় ছিল। বিরাট মাপের মানুষ ছিলেন সুভাষদা। এত দ্রুত চলে যাবেন ভাবিনি। তবে যেখানেই যান, উনি সুভাষ ভৌমিকই থাকবেন। ওঁকে কেউ বদলাতে পারবে না। ওঁর সব থেকে বড় গুণ নিজস্বতা। ’৭০-এর দশকে অনেক ফুটবলারই ছিল। কিন্তু উনি একটু ভিন্ন ছিলেন।”
সুভাষের মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠিয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা। সভাপতি প্রফুল পটেল বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নিজের প্রজন্মের সেরা ফুটবলার সুভাষদা আর নেই, এটা শুনে অত্যন্ত দুঃখিত। ভারতীয় ফুটবলে ওঁর অবদান ভোলার নয় এবং কোনওদিন ভোলা যাবে না। উনি চিরকাল আমাদের মধ্যেই থাকবেন। ভারতীয় ফুটবল আরও এক নক্ষত্রকে হারাল।’ সচিব কুশল দাস বলেছেন, ‘যে কীর্তি উনি তৈরি করেছিলেন, তার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন সুভাষদা।
দীর্ঘ দিন ধরেই সুগার এবং কিডনির অসুখে ভুগছিলেন সুভাষ। গত প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে তাঁকে নিয়মিত ডায়ালিসিস নিতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বুকে সংক্রমণ নিয়ে তিনি ভর্তি ছিলেন একবালপুরের একটি নার্সিংহোমে। ২৩ বছর আগে তাঁর বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল। প্রাক্তন এই ফুটবলার ও কোচ শনিবার সকালে নার্সিংহোমেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy