দলের পক্ষে তৃতীয় গোল করার পর উচ্ছ্বাস স্পেন অধিনায়ক তোরেসের। ছবি: রয়টার্স
বড় ব্যবধানে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল স্পেন। বুধবার বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে আর কোনও অঘটন ঘটল না। কোস্টারিকাকে ৭-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিলেন ফেরান তোরেসরা। প্রথমার্ধেই ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
প্রত্যাশিত ছন্দেই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল স্পেন। কোস্টারিকার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুললেন তোরেসরা। কোস্টারিকার ফুটবলারদের প্রায় সারাক্ষণই নিজেদের অর্ধে ব্যস্ত রাখল স্পেন। ৪-৪-৩ ছকে দল সাজিয়ে ছিলেন স্পেনের কোচ লুই এনরিকে। ম্যাচের ৫ মিনিটেই দানি ওলমো গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। শুধু এটাই নয়, গোটা ম্যাচে গোলের বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেছেন স্পেনের ফুটবলাররা। যদিও ১০ মিনিট অন্তর তিনটি গোল করে প্রথমার্ধেই জয় কার্যত নিশ্চিত করে নেয় স্পেন। ১১ মিনিটে ওলমোর গোলেই এগিয়ে যায় স্পেন।
এর পর খেলা যত এগিয়েছে তত বেড়েছে স্পেনের দাপট। ফুটবল দক্ষতায় পেরে না উঠে কোস্টারিকার ফুটবলাররা ঘন ঘন ফাউল করলেন। তাতে অবশ্য লাভ কিছু হয়নি। ১০ মিনিটের ব্যবধানে অর্থাৎ, ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথায় জর্ডি অ্যালবার পাশ থেকে স্পেনের পক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন মার্কো অ্যাসেনসিয়ো। এর পর ৩১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন অধিনায়ক তোরেস। ৪৩ মিনিটে অ্যাসেনসিয়ো সহজ গোলের সুযোগ না হারালে প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারত স্পেন।
সেই কাজটিই তিনি করলেন দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোলটি করেন অ্যাসেনসিয়ো। স্পেনের দাপটের মাঝেই বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু পাল্টা আক্রমণ গড়ে তুললেন কোস্টারিকার ফুটবলাররা। কিন্তু গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেননি তাঁরা। বরং হতাশায় কিছুটা গা জোয়ারি ফুটবল দেখা গেল তাদের মধ্যে। ৭৪ মিনিটে স্পেনের পক্ষে পঞ্চম গোল গাবির।
৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর খেলার গতি কিছুটা কমিয়ে দেন স্পেনের ফুটবলাররা। কারণ ততক্ষণে তাঁদের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তাও ষষ্ঠ এবং সপ্তম গোল পেল স্পেন। ৯০ মিনিটে কার্সোল সোলের গোল করেন। সংযুক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে স্পেনের পক্ষে সপ্তম গোল আলভারো মোরাতার। ইরানকে ৬ গোল দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। ৭ গোল দিয়ে হ্যারি কেনদেরও ছাপিয়ে গেলেন তোরেসরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy