Advertisement
০৯ জানুয়ারি ২০২৫
FIFA World Cup 2022

বিতর্কের আঁতুড়ঘর হলেও কাতার বিশ্বকাপে বিনিয়োগ ৭৬টি সংস্থার! কোন টানে ছুটেছে তারা

একের পর এক বিতর্কে বিদ্ধ কাতার বিশ্বকাপ। কিন্তু তার পরেও ৭৬টি সংস্থা বিনিয়োগ করেছে এ বারের প্রতিযোগিতায়। কেন এত বেশি সংস্থা ছুটেছে এ বারের বিশ্বকাপে? পিছনে কী কারণ রয়েছে?

কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে একের পর এক বিতর্ক হয়েছে। তার পরেও বিশ্বকাপে বিনিয়োগের পরিমাণ কমেনি।

কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে একের পর এক বিতর্ক হয়েছে। তার পরেও বিশ্বকাপে বিনিয়োগের পরিমাণ কমেনি। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২২ ২১:১৪
Share: Save:

বিশ্বকাপ শুরুর আগেই একের পর এক বিতর্কে বিদ্ধ কাতার। কখনও বিয়ার নিষিদ্ধ করা, কখনও সমকামী সম্পর্কের সমর্থন করায় দর্শকদের স্টেডিয়ামে ঢুকতে বাধা দেওয়া, কখনও বা সমর্থকদের গান গাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা, বার বার বিতর্ক হয়েছে আয়োজকদের নিয়ে। কিন্তু তার পরেও বিনিয়োগকারীরা সরছেন না বিশ্বকাপ থেকে। এ বার সব মিলিয়ে ৭৬টি সংস্থার বিনিয়োগ রয়েছে বিশ্বকাপে। কেন এত বিনিয়োগ? কারণ হিসাবে উঠে আসছে লাভের অঙ্ক। এ বারের বিশ্বকাপ থেকে বিপুল লাভের আশা করছেন বিনিয়াগকারীরা। তাই এত বিতর্কের মাঝেও সরছেন না তাঁরা।

এ বারের বিশ্বকাপে সরাসরি বিনিয়োগকারী হিসাবে রয়েছে ৭টি সংস্থা। এ ছাড়া ৩২টি দলের বিনিয়োগকারী হিসাবে রয়েছে আরও ৬৯টি সংস্থা। তাদের সঙ্গে কথা বলেছে ‘ব্লুমবার্গ নিউজ’। এই সংস্থাগুলির বেশির ভাগই এমন কিছু দেশের যেখানে মানবাধিকার, সমকামী সম্পর্ক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়। নিজেদের দেশে মানবাধিকার নিয়ে সক্রিয় এই সব সংস্থা। তা হলে যে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এত অভিযোগ উঠছে সেখানে কেন সংস্থাগুলি চুপ করে রয়েছে।

ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭৬টি সংস্থার মধ্যে ২০টি সংস্থা জানিয়েছে, তারা মানবাধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তাই বিশ্বকাপ চলাকালীন নিজেদের প্রচারের পদ্ধতিতে কিছু বদল আনতে পারে তারা। কিন্তু সেটা কী ভাবে তা জানায়নি তারা। ১৩টি সংস্থা জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই নিজেদের প্রচারের পদ্ধতিতে বদল করেছে। কিন্তু বাকিদের মুখে কুলুপ।

তার একটা বড় কারণ এই বিশ্বকাপের দর্শক সংখ্যা। প্রায় ৫০০ কোটি দর্শক এ বারের বিশ্বকাপ দেখবেন, যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ। এত দর্শক সরাসরি সেই সব সংস্থার বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। ফলে তাদের প্রচারও হবে। এই প্রচারের লোভ সামলানো কঠিন। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছিল ফিফার। এ বার সেই আয়ের অঙ্ক আরও কয়েক গুণ বাড়তে পারে। তাই যাবতীয় বিতর্ক ধামাচাপা দিতে চাইছে ফিফাও। সেই কারণেই ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘‘৩ ঘণ্টা বিয়ার না খেলে কেউ মারা যাবেন না।’’

ইউরোপের এক মিডিয়া অ্যানালিস্ট সারা সিমোন বলেছেন, ‘‘এ বারের বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি কাটাছেঁড়া হবে। ৫ বা ১০ বছর আগে মানবাধিকার নিয়ে যা আন্দোলন হত তা এখন অনেক বেশি। কিন্তু সবার উপরে রয়েছে আর্থির মুনাফা। চার বছর অন্তর এই সুযোগ পায় সংস্থাগুলো। তারা কেন সেই সুযোগ হারাবে। তা ছাড়া কোভিডের সময় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় সব সংস্থার। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার একটা সুযোগ তাদের কাছে রয়েছে। সেটাই তারা কাজে লাগাচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

FIFA World Cup 2022 Qatar World Cup 2022 fifa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy