ইংল্যান্ড বনাম ইরান ম্যাচে প্রথমার্ধে ১৪ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে সেই ম্যাচে ২৭ মিনিট বেশি খেলা হয়েছে। ছবি: গেটি ইমেজ
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে ইরান যখন দ্বিতীয় গোল করে তখন ঘড়িতে খেলার সময় ১০২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড। সেনেগালের বিরুদ্ধে আবার নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় গোল আসে ৯৮ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে। হিসাব বলছে প্রথম পাঁচ ম্যাচে ৮৩ মিনিট ইনজুরি টাইম (প্রথমার্ধ ও দ্বিতীয়ার্ধের শেষে যে সময় অতিরিক্ত যোগ করা হয়) দেওয়া হয়েছে। যা প্রায় একটি গোটা ফুটবল ম্যাচের সমান। কিন্তু কেন এত ক্ষণ খেলা হচ্ছে এ বারের ফুটবল বিশ্বকাপে?
বেশি ক্ষণ খেলানোর প্রধান কারণ ফিফার নিয়ম বদল। ফুটবলাররা যাতে পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারেন, যাতে বেশি সময় নষ্ট না হয় তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফিফার রেফারিদের কমিটির প্রধান পিয়েরলুইগি কলিনা বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে বলেছিলেন, ‘‘আমরা চাই না যে ৪২,৪৩,৪৪ মিনিটে একটি অর্ধ শেষ হয়ে যাক। তাই পরিবর্ত ফুটবলার মাঠে নামা, পেনাল্টি, গোলের পর উল্লাস, মেডিক্যাল কারণে ও ভার প্রযুক্তির ফলে যে সময় নষ্ট হয় তা মেটানো হবে।’’ কলিনার এই বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, কেন এ বারের বিশ্বকাপে এত ক্ষণ অতিরিক্ত খেলানো হচ্ছে।
এ বারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে ইংল্যান্ড বনাম ইরান ম্যাচে। প্রথমার্ধে ১৪ ও দ্বিতীয়ার্ধে ১৩ অর্থাৎ মোট ২৭ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। তার প্রধান কারণ ছিল, প্রথমার্ধে চোট পেয়ে ইরানের গোলরক্ষক আলিরেজা বেইরানভান্দের বেরিয়ে যাওয়া। তাঁর চিকিৎসায় অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছিল। সেই সঙ্গে গোটা ম্যাচ আটটি গোল হয়েছে। প্রতিটি গোলের পরে ফুটবলারদের উল্লাসের জন্য সময় নষ্ট হয়েছে। সেটাও যোগ করা হয়েছে।
আর্জেন্টিনা বনাম সৌদি আরব ম্যাচে দুই অর্ধ মিলিয়ে মোট ১৯ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। প্রথমার্ধে ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ৮ মিনিট দেওয়া হলেও সেই অতিরিক্ত সময় গড়ায় ১৪ মিনিটে। সেখানেও কারণ সেই ফুটবলারের চোট। ফুটবলাররা যাতে দুই অর্ধ মিলিয়ে পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারেন তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। সেই কারণেই এত বেশি ক্ষণ অতিরিক্ত সময় দেওয়া হচ্ছে এ বারের ফুটবল বিশ্বকাপে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy