একাধিক নজির গড়লেন মেসি। ছবি: রয়টার্স
ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে একটি গোল, একটি অ্যাসিস্ট। মঙ্গলবারের রাতটা এ ভাবেই মাতিয়ে রাখলেন লিয়োনেল মেসি। আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলতে মুখ্য ভূমিকা নিলেন অধিনায়ক নিজেই। লুসাইল স্টেডিয়ামে মেসির সামনে একাধিক নজিরের সুযোগ ছিল। প্রায় সবক’টিই হয়ে গেল তাঁর।
বিশ্বকাপে এত দিন আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করেছিলেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা (১০)। মঙ্গলবার তাঁকে টপকে গেলেন মেসি। বিশ্বকাপে ১১টি গোল হয়ে গেল তাঁর। বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার নজির রয়েছে জার্মানির লোথার ম্যাথাউসের। এ দিন তাঁকে ছুঁয়ে ফেললেন মেসি। ফাইনালেই ম্যাথাউসকে টপকে নতুন নজির গড়বেন তিনি। এ ছাড়া অধিনায়ক হিসাবে বিশ্বকাপে সর্বাধিক ম্যাচ খেলার নজির গড়লেন মেসি (১৯)। পিছনে ফেললেন মেক্সিকোর রাফায়েল মার্কুয়েজ়কে। এ ছাড়া অ্যাসিস্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে ছুঁয়ে ফেললেন কিংবদন্তি পেলেকে। দু’জনেরই নকআউটে ছ’টি করে অ্যাসিস্ট রয়েছে। বিশ্বকাপে গোলের নিরিখে পেলের (১২) থেকে এক গোল পিছনে মেসি।
এর আগে চারটি বিশ্বকাপ খেললেও নকআউটে কখনও গোল করেননি মেসি। এ বারের নকআউটে বিধ্বংসী ছন্দে রয়েছেন তিনি। তিনটি নকআউট ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা। তিনটিতেই গোল পেলেন মেসি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল, নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল, তিনটি ম্যাচেই গোল করলেন মেসি। এর মধ্যে শেষ দু’টি ম্যাচে পেনাল্টি থেকে। গ্রুপ পর্বে সৌদি আরব এবং মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গোল করেন তিনি। এই বিশ্বকাপে একমাত্র পোল্যান্ড ম্যাচে গোল করতে পারেননি। সেই ম্যাচে পেনাল্টি নষ্ট করেন মেসি।
সব মিলিয়ে এই বিশ্বকাপে পাঁচটি গোল হয়ে গেল মেসির। সোনার বুটের দৌড়ে ছুঁয়ে ফেললেন কিলিয়ান এমবাপেকে। দু’জনেরই রয়েছে পাঁচটি করে গোল। তবে এমবাপে সেই ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারেন বুধবার অপর সেমিফাইনালে মরক্কোর বিরুদ্ধে গোল করে। আর্জেন্টিনার জুলিয়ান আলভারেসেরও বিশ্বকাপে চারটি গোল হয়ে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy