বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের সমর্থকদের মধ্যে লড়াই অব্যাহত। ছবি: টুইটার।
বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে লড়াই থামছেই না। এ বার ফ্রান্সের সমর্থকদের পাল্টা জোট বাঁধলেন আর্জেন্টিনার ফুটবল সমর্থকরা। আর্জেন্টিনার সাড়ে ছয় লাখের বেশি সমর্থক এক জোট হয়েছেন। ফ্রান্সের সমর্থকদের ফাইনালের হার নিয়ে আর না কাঁদার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিশ্বকাপ ফাইনাল আবার আয়োজনের দাবি তুলেছেন ফ্রান্সের সমর্থকরা। দু’লাখ সমর্থক সমর্থন করেছেন সেই দাবি। তাঁদের সেই দাবির প্রতিবাদে এ বার জোট বেধেছেন আর্জেন্টিনার ফুটবল সমর্থকরা। একটি ওয়েব সাইটে দেওয়া পিটিশনে সই করেছেন আর্জেন্টিনার সাড়ে ছয় লাখের বেশি সমর্থক। ফ্রান্সের সমর্থকদের কটাক্ষ করে তাঁরা। ভ্যালেন্টিন গোমেজ় নামে আর্জেন্টিনার এক সমর্থক বলেছেন, ‘‘আর কাঁদবেন না আপনারা। সব অর্থেই এ বার আমরাই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ফ্রান্সের কোনও আবেদনই গৃহীত হচ্ছে না। তাই ওদের কান্নাও থামছে না। ওরা মানতেই পারছে না আর্জেন্টিনা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফরাসিদের কান্না থামানোর জন্য আমাদের একটা পিটিশন দিতে হল। না কেঁদে ওরা বরং মেনে নিক, ফুটবলের ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড়ের নাম লিয়োনেল মেসিই। কিলিয়ন এমবাপে ওর ছেলের মতো।’’ ফ্রান্সের দাবি প্রকাশ্যে আসার পর গোমেজ়ই প্রথম এই উদ্যোগ নেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সারা বিশ্ব থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছেন তিনি।
ফ্রান্সের সমর্থকদের দাবি ছিল, প্রথম যে পেনাল্টি আর্জেন্টিনাকে দেওয়া হয়েছিল, সেটা আদৌ পেনাল্টি ছিল না। ওসমানে দেম্বেলে ফাউল করেননি অ্যাঙ্খেল দি মারিয়াকে। অত্যন্ত সামান্য স্পর্শ হয়েছিল। যেটাকে কোনও ভাবেই ফাউল বলা যায় না। দি মারিয়ার দ্বিতীয় গোল নিয়েও আপত্তি তুলেছেন তাঁরা। ক্ষুব্ধ সমর্থকদের দাবি, আগেই ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ফাউল করেছিলেন এমবাপেকে। তবু ফ্রান্সের ফুটবলারদের দাবি মেনে ফাউল দেননি রেফারি। বরং খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন পোল্যান্ডের রেফারি।
১৮ ডিসেম্বরের ফাইনাল বাতিল করার দাবি করে আবার ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের দাবিতে সই করেন ফ্রান্সের দুই লাখ ফুটবল সমর্থক। যাঁদের অধিকাংশই ফ্রান্সের বাসিন্দা। তাঁদের সেই দাবিকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। দুই লাখের জবাব হিসাবে সাড়ে ছয় লাখের বেশি সই সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। এ ক্ষেত্রেও ফরাসিদের হারিয়ে দিয়েছেন অর্জেন্টিনীয়রা।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ের শেষে ফল ছিল ৩-৩। পরে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy