কাতার বিশ্বকাপের ২৬ দিন এবং ৬২টি ম্যাচ অতিক্রান্ত। পড়ে আর দু’টি ম্যাচ। শনিবার তৃতীয় স্থান নির্ণয়কারী। রবিবার ফাইনাল। খেলবে ফ্রান্স এবং আর্জেন্টিনা। দু’দলের কাছেই তৃতীয় বার বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ। শুধু বিশ্বকাপ জেতাই নয়, দুই দলই একাধিক নজিরের সামনে দাঁড়িয়ে। সেগুলি কী কী?
আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রে:
- ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতবে। শেষ বার ট্রফি পেয়েছিল ১৯৮৬ সালে।
- প্রথম বার বিশ্বকাপ জিতবেন মেসি। আর্জেন্টিনার অপর দুই অধিনায়ক ড্যানিয়েল পাসারেল্লা এবং দিয়েগো মারাদোনাকে ছোঁবেন।
- চতুর্থ দল হিসাবে তিন বা তার বেশি বিশ্বকাপ জেতার নজির তৈরি করবে। সবচেয়ে বেশি পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। জার্মানি এবং ইটালি জিতেছে চার বার করে।
- ইউরোপের আধিপত্য থামাতে পারবে। ২০০২-এ ব্রাজিলের পর চারটি বিশ্বকাপ জিতেছে ইউরোপের দেশ। আবার লাতিন আমেরিকার কোনও দেশ বিশ্বকাপ জিতবে।
- ব্রাজিলের (২০০২) পর লাতিন আমেরিকার প্রথম দল হিসাবে ইউরোপীয় দলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতার নজির তৈরি করবে। ব্রাজিল সে বার হারিয়েছিল জার্মানিকে।
- মেসি যদি গোল করেন এবং এমবাপে গোল না পান, বা জুলিয়ান আলভারেস ও অলিভিয়ের জিহু একটির বেশি গোল না করেন, তা হলে সোনার বুট পাবেন মেসি। প্রতিযোগিতার সেরা ফুটবলার হওয়ার জন্য সোনার বলও পেতে পারেন মেসি। ২০১৪ সালেও এই পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। প্রথম ফুটবলার হিসাবে এই পুরস্কার দু’বার জিতবেন তিনি।
- এখনও পর্যন্ত চার বার ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন মেসি। আর একটি পেলেই এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচের সেরার পুরস্কার পাওয়ার নজির গড়বেন।
- আর একটি গোল করলে বিশ্বকাপে ছ’টি গোল হবে মেসির। এক বিশ্বকাপে যা হবে তাঁর সর্বোচ্চ। ২০১৪ বিশ্বকাপে পাঁচটি গোল ছিল। পাশাপাশি আর একটি গোল করলে বিশ্বকাপে পেলের মোট গোলের সংখ্যাও ছুঁয়ে ফেলবেন। মারাদোনাকে আগেই পেরিয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি, বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার নজির গড়বেন মেসি। টপকে যাবেন জার্মানির লোথায় ম্যাথাউসকে (২৬)।
- ফাইনালে মেসি গোল বা অ্যাসিস্ট করলে, বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বার গোলের হওয়ার পিছনে যুক্ত থাকতে পারবেন। এই মুহূর্তে ১৯টি (১১ গোল, ৮ অ্যাসিস্ট) অবদান রয়েছেন তাঁর। একই স্থানে রয়েছেন গার্ড মুলার এবং ব্রাজিলের রোনাল্ডোও।
- স্পেনের পর দ্বিতীয় দল হিসাবে প্রথম ম্যাচ হেরেও বিশ্বকাপ জয়ের নজির গড়বে আর্জেন্টিনা।
ফ্রান্সের ক্ষেত্রে:
- ৬০ বছর পর বিশ্বকাপ ধরে রাখতে পারবে। আগে এই কাজ করেছে ইটালি এবং ব্রাজিল।
- প্রথম কোচ হিসাবে টানা দু’টি বিশ্বকাপ জিতবেন দিদিয়ের দেশঁ। এর আগে করেছেন ভিট্টোরিয়ো পোজ়ো (১৯৩৪ এবং ১৯৩৮)।
- দেশঁ হবেন প্রথম ব্যক্তি যিনি ফুটবলার হিসাবে এক বার এবং কোচ হিসাবে দু’বার বিশ্বকাপ জিতবেন। এখন তাঁর কৃতিত্ব রয়েছে মারিয়ো জাগালো এবং ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের।
- টানা পাঁচ বার ইউরোপের কোনও দেশে বিশ্বকাপ যাবে।
- এমবাপে ফাইনালে গোল করলে ২৪ বছরের আগে এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করার ক্ষেত্রে ব্রাজিলের পেলে, আর্জেন্টিনার মারিয়ো কেম্পেস এবং কলম্বিয়ার হামেস রদ্রিগেসকে ছোঁবেন।