রিৎসু দোয়ান (জাপান এবং ফ্রেইবুর্গ): জাপানি ফুটবলারদের গতি এ বার নজর কেড়েছে। প্রতিটি ম্যাচে বলের পিছনে অনবরত দৌড়ে গিয়েছেন তাঁরা। তাঁদেরই একজন দোয়ান। জার্মানির ঘরোয়া লিগে খেলেন। জার্মানি এবং স্পেনকে হারাতে তাঁর ভূমিকা অস্বীকার করার জায়গা নেই। জার্মান লিগ থেকে কি স্পেন বা ইংল্যান্ড পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে?
আজ্জেদিন ওউনাহি (মরক্কো এবং অ্যাঙ্গার্স): মেসি, এমবাপে, নেমার যে লিগে খেলেন, সেই ফরাসি লিগে এই মুহূর্তে সবচেয়ে নীচে থাকা ক্লাবের ফুটবলার ওউনাহি। বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স দেখে কে সেটা বলবে? স্পেন এবং পর্তুগালকে থামিয়ে দিয়েছেন দুরন্ত ফুটবল খেলে। বিপক্ষের মিডফিল্ড তছনছ করেছেন। ভবিষ্যতে তাঁর গন্তব্য পিএসজি কি না, সময়ই বলবে।
গনসালো রামোস (পর্তুগাল এবং বেনফিকা): সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে নেমে আবির্ভাবেই হ্যাটট্রিক! তা-ও আবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের মতো ম্যাচে। পর্তুগাল পরের ম্যাচে বিদায় নিলেও নজর কেড়েছেন রামোস। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতোই ধারাবাহিক ভাবে গোল করার ক্ষমতা রাখেন। ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলি তাঁকে নিতে চাইছে।
সোফিয়ান আমরাবাত (মরক্কো এবং ফিয়োরেন্টিনা): ইটালীয় লিগে খেলেন বটে, তবে ফিয়োরেন্টিনার মতো মধ্যমানের ক্লাবের খেলা আর কে-ই বা দেখে? আমরাবাত বিশ্বকাপে নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন। বিপক্ষের ডিফেন্স চিরে তাঁর দৌড়, কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখা এবং অনবরত আক্রমণ করে যাওয়া নজর কেড়েছে। জুভেন্টাস বা এসি মিলান তাঁকে নিতে পারে। আসতে পারেন স্পেনেও।
হ্যারি সাউটার (অস্ট্রেলিয়া এবং স্টোক সিটি): বিশ্বকাপের আগেই হাঁটুর বড় চোট সারিয়ে ফিরেছিলেন। গত ১২ মাসে স্টোক সিটির হয়ে মাত্র একটি ম্যাচে খেলেছেন। কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য নিজের সেরাটা তুলে রেখেছিলেন। রক্ষণে অসাধারণ খেলে দলকে শেষ ষোলোয় তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। ইপিএলের বড় কোনও ক্লাবে যেতেই পারেন।
এনজ়ো ফের্নান্দেস (আর্জেন্টিনা এবং বেনফিকা): এ বারের বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান তারকা। তাঁকে ঘিরে যে সবচেয়ে বেশি নজর থাকবে ট্রান্সফার উইন্ডোতে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত একটি গোল করেছেন। সাতটি ম্যাচেই ভাল খেলেছেন। নজর কেড়েছেন প্রতি ম্যাচে। লিয়ো মেসির পছন্দের ফুটবলার। তাঁকে ইপিএলের কোনও ক্লাব নিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy