হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়ছেন হ্যারি কেন (বাঁ দিকে)। পাশে কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। ছবি: রয়টার্স।
জিতলেই ইউরো কাপের শেষ ১৬ নিশ্চিত হয়ে যেত ইংল্যান্ডের। হ্যারি কেনের গোলে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। কিন্তু রক্ষণের ভুলে ড্র করতে হল তাদের। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও ১-১ গোলে ড্র করল ইংল্যান্ড। ফলে এখনও পরের রাউন্ড পাকা হল না গ্যারেথ সাউথগেটের ছেলেদের। অন্য দিকে পর পর দু’ম্যাচ ড্র করে লড়াইয়ে টিকে থাকল ডেনমার্ক।
সার্বিয়ার বিরুদ্ধে জিতলেও মাঠে দাপট দেখাতে পারেনি ইংল্যান্ড। বেশ কয়েক বার তাদের গোলের সামনেও বিপদ দেখা দিয়েছিল। ডেনমার্কের বিরুদ্ধেও ইংল্যান্ডের রক্ষণের ফাঁক দেখা দিল। শুরু থেকে বেশ আত্মবিশ্বাসী ফুটবল শুরু করে ডেনমার্ক। মাঝমাঠের লড়াই চলছিল। দু’দলই বলের দখল রাখার চেষ্টা করছিল।
১৮ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষ ফুটবলারের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডান প্রান্ত ধরে বক্সে ঢোকেন কাইল ওয়াকার। পাস বাড়ান তিনি। সেই বল বার করতে পারেনি ডেনমার্ক। অরক্ষিত দাঁড়িয়ে থাকা কেনের কাছে বল পৌঁছয়। বাঁ পায়ে গোল করতে ভুল করেননি ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার। চলতি ইউরোয় প্রথম গোল করলেন তিনি।
গোল খাওয়ার পরে আরও আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে ডেনমার্ক। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন, হয়বিয়ের, উইন্ডেরা অনেক বেশি পাস খেলা শুরু করেন। ফলে ইংল্যান্ডের রক্ষণ চাপে পড়ে যায়। তার ফল পায় ডেনমার্ক। ৩৪ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ডের রক্ষণের ভুল থেকে বল পান মর্টিন হুলমান্ড। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে মাটি ঘেঁষা শট মারেন তিনি। পায়ের জঙ্গলের মধ্যে সেই বল দেখতে দেরি হয় জর্ডন পিকফোর্ডের। ফলে বলের কাছে পৌঁছতে পারেননি পিকফোর্ড। পোস্টে লেগে বল গোলে ঢুকে যায়। সমতা ফেরায় ডেনমার্ক। ২০১৬ সালের পরে ইউরোয় গ্রুপ পর্বে এই প্রথম কোনও গোল খেল ইংল্যান্ড। ১-১ গোলে বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার এগিয়ে যাওয়ার জায়গায় চলে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের। ৫৬ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে ফিল ফডেনের বাঁ পায়ের শট পোস্টে লেগে ফেরে। ইংল্যান্ডের সব আক্রমণ হচ্ছিল ডান প্রান্ত ধরে। বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণ না হওয়ায় ডেনমার্কের রক্ষণের সুবিধা হচ্ছিল। তবে তার মধ্যেই বেশ কয়েক বার বুকায়ো সাকা বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেননি তিনি। জুড বেলিংহ্যাম আগের ম্যাচে গোল করলেও এই ম্যাচে দেখাই গেল না তাঁকে। ফলে সমস্যায় পড়ল ইংল্যান্ড।
৬৯ মিনিটের মাথায় সাহস দেখান ইংল্যান্ডের কোচ সাউথগেট। কেন, ফডেন, সাকাকে একসঙ্গে তুলে নেন তিনি। তরতাজা ফুটবলার নামান। কিন্তু তাতে আক্রমণের ছবি বদলায়নি। উল্টে ৮০ মিনিটের পরে অন্তত দু’বার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিল ডেনমার্ক। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায় গোল করতে পারেনি তারা।
বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করেও দু’দল গোল করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হয় ইংল্যান্ড ও ডেনমার্ককে। সার্বিয়ার পরে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের রক্ষণ যা খেলল তা চিন্তা আরও বাড়াবে সাউথগেটের। বড় বড় নাম থাকলেও বড় দলের মতো খেলতে পারছে না ইংল্যান্ড। নক আউটে এই ভুল করলে কিন্তু আরও এক বার ব্যর্থ হয়েই ফিরতে হবে কেনদের।
স্লোভেনিয়া-সার্বিয়া ম্যাচ ড্র— বৃহস্পতিবার অন্য ম্যাচে স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করল সার্বিয়া। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পরে দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় স্লোভেনিয়া। গোল করেন জান কার্নিচনিক। দেখে মনে হচ্ছিল, সেই গোলই খেলার ফয়সালা করে দেবে। কিন্তু সংযুক্তি সময়ের শেষ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান সার্বিয়ার লুকা জভিচ। ১-১ ড্র করে মাঠ ছাড়ে দু’দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy