আইএসএলের শেষ বেলায় ইস্টবেঙ্গল জ্বলে উঠেছে। ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম বার টানা তিনটি ম্যাচে জিতেছে তারা। প্লে-অফের শেষ দু’টি জায়গা দখলের জন্য লড়াই এখন চারটি দলের মধ্যে, যাদের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলও রয়েছে। শেষ দুই ম্যাচে তারা বেঙ্গালুরু ও নর্থইস্টকে হারাতে পারলে প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা বেঁচে থাকবে ঠিকই। তবে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যান্য ম্যাচের ফলের দিকে।
বুধবার জেতার পর দলের নতুন খেলোয়াড় রাফায়েল মেসি বোউলির প্রশংসা করেছেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজ়ো। জানিয়েছেন, এ রকম খেলোয়াড়ই চাইছিলেন তাঁরা। অস্কারের কথায়, “আজ মেসিই ছিল আমাদের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়। দলের পারফরম্যান্সে যথেষ্ট গভীরতা এনে দেয় ও। আমাদের দলে ভাল ভাল খেলোয়াড় থাকলেও তারা কেউ পারফরম্যান্সে গভীরতা এনে দিতে পারেনি, যা মেসি পেরেছে। মেসির মতোই একজন ফুটবলার আমাদের দলে প্রয়োজন ছিল।”
অস্কার এটাও জানিয়েছেন, শেষ দুই ম্যাচে জেতার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে তাঁর দল। যুবভারতীতে শেষ দশ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোলে জয়ের পর স্প্যানিশ কোচ বলেছেন, “তিন সপ্তাহ আগেও দলের বাইরে অনেকে বলেছিলেন আমাদের সম্ভাবনা শূন্য শতাংশ। কিন্তু এখন দলের সবাই সেরা ছয়ে পৌঁছনোর স্বপ্ন দেখছে। সপ্তাহ দুয়েক আগেও আমরা ১১ নম্বরে ছিলাম। তবে আমাদের পারফরম্যান্স ভাল কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল। অবশ্যই সেরা ছয়ে উঠতে চাই। সে জন্য অন্যান্য ম্যাচের ফলের ওপরও আমাদের নির্ভর করতে হবে। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাব আমরা। প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা না-ও পেতে পারি। তবে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করলে অন্তত গর্বিত হতে পারব।”
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দলের পারফরম্যান্সে খুশি অস্কার। এই পারফরম্যান্স তাঁকে অবাক করেছে। তাঁর মতে, এই ম্যাচে ছন্দে ফিরে আসাটা কঠিন ছিল। কারণ চার দিন আগেই ম্যাচ খেলেছেন। তাই এ দিন তরতাজা ভাবটা ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে সমর্থকেরা যে ভাবে আমাদের জন্য গলা ফাটিয়েছেন, তাতেই ফুটবলারেরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন বলে অস্কারের মত।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই ফরোয়ার্ড রিচার্ড সেলিস ও ডেভিড লালানসাঙ্গা মাঠে আসার পর ম্যাচের ছবিটা বদলাতে শুরু করে। অস্কার বলেছেন, “ডেভিড যখন দ্বিতীয়ার্ধে নামার আগে গা ঘামাচ্ছিল, তখন দিমি মাঠের ভিতর থেকে ইঙ্গিত করে জানায় সে ক্লান্ত। তাই দিমির জায়গাতেই ডেভিডকে নামাই। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ও আরও এক বার ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ডেভিড যখনই মাঠে নামে ওকে ক্ষুধার্ত মনে হয়। প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল করছে ও।”
আরও পড়ুন:
তবে এখনও দলের কিছু কিছু জায়গায় খামতি আছে বলে মনে করেন অস্কার। তাঁর কথায়, “আমাদের ফিনিশিং ভাল হয়নি। প্রথমার্ধে উইংয়ে আমরা নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করেও পারিনি। তীব্র আক্রমণ তৈরি করতে পারিনি আমরা। ওদের রক্ষণে আমরা ফাটল ধরাতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে যখন সেলিস এল এবং মেসি ডানদিক দিয়ে উঠতে শুরু করল এবং যখন ডেভিড এসে ওদের রক্ষণে মেসির সঙ্গে দৌড় শুরু করল, তখন আমাদের খেলা আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে।”