FIFA: হৃদ্‌রোগ হারিয়ে মাঠে ফিরে গোল! নায়কের নাম ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন

ফিফা আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি

নেদারল্যান্ডস ৪ ডেনমার্ক ২

হিসেব মতো সময়ের ব্যবধান মাত্র ন’মাসের। ইউরোর প্রথম ম্যাচে ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছে ডেনমার্ক। ম্যাচের ৪২ মিনিটে আচমকাই মাঠের মধ্যে পড়ে গেলেন তিনি। সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন মুহূর্তে। সতীর্থরা সময় নষ্ট না করে কৃত্রিম ভাবে তাঁর শ্বাস চালু রাখার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন। দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে জানা যায়, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন
ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন।

ফুটবলবিশ্বের উদ্বেগ দূর করে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন ডেনমার্ক তারকা। তাঁর বুকে বসাতে হয় কৃত্রিম যন্ত্রও। এবং তারই সঙ্গে জল্পনা শুরু হয়েছিল, তবে কি এরিকসেনের ফুটবলজীবনে পড়ে গেল ইতি? শনিবার আমস্টারডামে ৩০ বছরের প্রাক্তন ইন্টার মিলান তারকা শুরু করলেন নতুন অধ্যায়। ফিরলেন জাতীয় দলের জার্সিতে। দুর্দান্ত গোল করে জিতে নিলেন
ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়।

সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরার পরেই তাঁর সঙ্গে ইন্টার মিলান চুক্তিভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু লড়াই ছেড়ে দেননি এরিকসেন। নতুন করে শুরু করেন অনুশীলন। প্রিয় ফুটবল মাঠে তাঁকে নতুন জীবন শুরু করার সুযোগ দেয় ইপিএলের দল ব্রেন্টফোর্ড। শনিবার পরিবর্ত হিসেবে ডেনমার্কের জার্সিতে মাঠে নামার পরে গোটা স্টেডিয়াম স্বাগত জানায় তাঁকে। নেদারল্যান্ডস ডাগ-আউটে বসে থাকা ম্যানেজার লুইস ফান হাল-ও উঠে দাঁড়িয়ে স্বাগত জানান ড্যানিশ যোদ্ধাকে।

দেশের হয়ে ১১০ নম্বর ম্যাচ খেলতে নামা এরিকসেন মাঠে নামার তিন মিনিটের মধ্যে গোল করেন আন্দ্রেয়াস স্কোভ ওলসেনের পাস থেকে। ম্যাচের পরে তিনি বলে যান, ‘‘গোলের জন্য বলটা পেয়ে কী যে আনন্দ হচ্ছিল বলে বোঝাতে পারব না।’’

যদিও ম্যাচে নেদারল্যান্ডস জেতে ৪-২ গোলে। ডাচদের হয়ে জোড়া গোল করেন স্টিভন বার্গউইন (১৬ ও ৭১ মিনিটে)। অন্য দুই গোলদাতা নাথান অ্যাকে (২৯ মিনিট) এবং মেম্ফিস দেপাই (৩৭ মিনিট, পেনাল্টি)। ডেনামার্কের আর এক গোলদাতা ইয়ানিক ভেস্টারগার্ড।

হ্যারির কীর্তি: ইংল্যান্ডের জার্সিতে ৪৯ গোল করে কিংবদন্তি স্যর ববি চার্লটনের রেকর্ড স্পর্শ করলেন হ্যারি কেন। শনিবার ইংল্যান্ড ২-১ হারিয়েছে সুইৎজ়ারল্যান্ডকে। ২২ মিনিটে ব্রিল এমবোলোর গোলে ইংল্যান্ড ০-১ পিছিয়ে যায়। প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে (৪৫+১) সমতা ফেরান লিউক শ। তবে গ্যারেথ সাউথগেটের দল জয়ের গোল পায় পেনাল্টিতে।
যা থেকে গোল করেন কেন।