সাংবাদিক বৈঠকে (ডান দিক থেকে) ভবানীপুরের কর্তা সৃঞ্জয় বোস, আইএফএ কর্তা সুব্রত দত্ত, লা লিগার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর মিগুয়েল কাসাল এবং ইন্ডিয়া অন ট্র্যাকের বিজ়নেস ডেভেলপমেন্টের প্রধান সন্দীপ কৃষ্ণন। — নিজস্ব চিত্র।
দেশ জুড়ে তৃণমূল স্তর থেকে ফুটবলার তুলে আনা এবং তাদের লালন-পালন করার লক্ষ্যে লা লিগা অ্যাকাডেমি ফুটবল স্কুলসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল ভবানীপুর ক্লাব। দেশ এবং এই রাজ্যের কোচেদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং বিভিন্ন জেলা থেকে ফুটবলার তুলে এনে তাদের সর্বোচ্চ মঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করার লক্ষ্যে লা লিগার তরফে সাহায্য করা হবে ভবানীপুর ক্লাবে। প্রো ইন্ডিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘ভবানীপুর এফসি প্রোইন্ডিয়া সেন্টার অফ এক্সেলেন্স’ এই কাজ করবে।
শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করা হয়। ছিলেন ভারতের লা লিগা অ্যাকাডেমির টেকনিক্যাল ডিরেক্টর মিগুয়েল কাসাল, ভবানীপুর ক্লাবের কর্তা সৃঞ্জয় বোস, আইএফএ-র চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত প্রমুখ। মূলত তিনটি বিষয়ে কাজ করছে ‘ভবানীপুর এফসি প্রোইন্ডিয়া সেন্টার অফ এক্সেলেন্স’। লা লিগার অ্যাকাডেমির দেওয়া ফুটবল পাঠ্যক্রম এএফসি এবং লা লিগার অনুমোদিতে কোচেদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে তরুণ ফুটবলারদের তুলে আনা হবে। সাহায্য নেওয়া হবে প্রযুক্তির। এ ছাড়া, পেশাদারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে দেশ ব্যপী অ্যাকাডেমির ম্যাচ, ছোটদের লিগ এবং অনুশীলন প্রচার করা হবে।
প্রথমে বিভিন্ন ডেভেলপমেন্ট সেন্টার বা স্কুল থেকে ফুটবলার বাছাই করা হবে। তাদের ‘এলিট প্লেয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ এবং পরবর্তীতে ‘ভবানীপুর এফসি প্রোইন্ডিয়া সেন্টার অফ এক্সেলেন্স’-এ নিয়ে আসা হবে। সেই দল খেলবে অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭ লিগে। এর পর আই লিগের তৃতীয় ডিভিশনে খেলানোরও ব্যবস্থা করা হবে। লা লিগার কোচেরা দেশীয় কোচেদের প্রশিক্ষণ দেবেন। স্পেনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। দেশের বিভিন্ন লিগে অংশগ্রহণ করবে ‘ভবানীপুর এফসি প্রোইন্ডিয়া ফুটবল অ্যাকাডেমি।’
ভবানীপুর ক্লাবের কর্তা সৃঞ্জয় বোস বলেন, “বাংলা জুড়ে একাধিক সেন্টার গড়ে তোলা হবে। বিভিন্ন জেলার নানা স্কুলের সঙ্গে জোট বাধা হবে। ভবানীপুর এফসি প্রোইন্ডিয়া সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে এসে আরও উন্নত হবে ফুটবলারেরা। আমরা চাই ভাল ঘরের ছেলেমেয়েরাও ফুটবল খেলুক এবং সেরা পরিষেবা পাক। বিভিন্ন আবাসিক স্কুলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ওদের পড়াশোনারও খেয়াল রাখা হবে।”
মিগুয়েল বলেন, “আমরা ভারত থেকে অনেক তরুণ ফুটবলার তুলে আনতে চায়। লা লিগার তরফে সব রকম সাহায্য করা হবে যাতে স্পেনের মতো এ দেশ থেকেও তরুণ ফুটবলারেরা উঠে আসতে পারে। আমরা ভারতীয় কোচেদেরও সাহায্য করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy