আন্তোনিয়ো লোপেজ় হাবাস। —ফাইল চিত্র।
গোটা ম্যাচে দাপট দেখিয়েছেন মোহনবাগান ফুটবলারেরা। হায়দরাবাদকে হারিয়ে আইএসএলে চার ম্যাচ পরে জয়ে ফিরেছে তারা। তাঁর কোচিংয়ে প্রথম জয় পেলেও খুশি হতে পারছে না বাগান কোচ আন্তোনিয়ো লোপেজ় হাবাস। কয়েকটি বিষয়ে চিন্তিত তিনি।
খেলা শেষে আইএসএলের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাবাস বলেন, “অনেক দিন পর তিন পয়েন্ট পেলাম আমরা। এটা খুব দরকার ছিল। অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম। সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে আরও গোল হত। তবে শেষ দিকে বক্সের মধ্যে খেলায় খুব একটা খুশি হতে পারিনি।” বার বার বক্সে ঢুকেও বাগান ফুটবলারদের গোল নষ্ট যে কোচকে আনন্দ দেয়নি সে কথাই জানিয়েছেন হাবাস।
প্রায় ১৫ মাস পরে আবার মোহনবাগান জার্সিতে মাঠে নেমেছেন জনি কাউকো। তাঁর খেলায় খুশি হাবাস। কাউকোকে যে তাঁর দরকার সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। হাবাস বলেন, “কাউকো আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। পরের ম্যাচগুলোতে ওকে আমাদের লাগবে। ভেবেছিলাম ওকে ৩০ মিনিট খেলাব। ও তার বেশিই খেলল। ওর ব্যাপারে বেশি তাড়াহুড়ো করা যাবে না। কারণ, প্রায় এক বছর পর ও মাঠে নামছে। তবে ও পুরো ফিট এবং ওর ওপর আমার যথেষ্ট ভরসা আছে।”
কাউকো বেশ কয়েকটি ভূমিকায় খেলতে পারেন। মাঝমাঠে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ারও ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। সেটাই কাজে লাগাতে চান হাবাস। তিনি বলেন, “মাঝমাঠে কাউকোর মতো দৃঢ় চরিত্রের খেলোয়াড় থাকলে অনেক সুবিধা হয়। ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার, ওয়াইড মিডফিল্ডার এবং প্লেমেকার হিসেবে যথেষ্ট দক্ষ। মাঝমাঠে ওকে তিন-চারটি পজিশনে খেলিয়ে দেখা যেতে পারে। ব্যাপারটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
মোহনবাগানের পরের ম্যাচ শক্তিশালী এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচেও চোট পাওয়া আনোয়ার আলি, আশিস রাই, ব্রেন্ডন হামিলদের পাবেন না হাবাস। সেটা অবশ্যই তাঁর কাছে ধাক্কা। তবে তিন-চার জন ফুটবলার ফিরছেন দলে। তাঁদের নিয়েই জিততে চান হাবাস। তিনি বলেন, “আশিস, আনোয়ারদের সেরে ওঠার সম্ভাবনা আছে কি না, তা জানি না। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে আমাদের হাতে মাত্র তিন দিন আছে। তার মধ্যে হামিলের পক্ষে তৈরি হয়ে ওঠা প্রায় অসম্ভব। তবে যারা সাসপেনশনে আছে, সেই দীপক (টাংরি), সাদিকু (আর্মান্দো) ও লিস্টন (কোলাসো) মাঠে ফিরবে। এটা ইতিবাচক। ওদের নিয়েই জেতার চেষ্টা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy