Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
ATK Mohun Bagan

ATK Mohun Bagan: শনিবার বিপক্ষ বসুন্ধরা, এএফসি কাপে টিকে থাকতে কী পরিকল্পনা এটিকে মোহনবাগানের

গ্রুপের সবচেয়ে কঠিন দল বসুন্ধরাই। শনিবার হারলে এএফসি কাপ থেকেই বিদায় হয়ে যাবে এটিকে মোহনবাগানের।

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২২ ২০:৩৪
Share: Save:

চোটের কারণে তিরি নেই। না খেলার সম্ভাবনা রয়েছে হুগো বুমোসেরও। সন্দেশ জিঙ্ঘনকে নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এর মধ্যেই ডেভিড উইলিয়ামস ক্লাব ছাড়তে পারেন, এমন খবরে শোরগোল পড়েছে শিবিরে। কিন্তু শনিবার বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে এএফসি কাপ গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার আগে এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো চেষ্টা করলেন আত্মবিশ্বাসী থাকার। কারণ, গ্রুপের সবচেয়ে কঠিন দল বসুন্ধরাই। শনিবার হারলে এএফসি কাপ থেকেই বিদায় হয়ে যাবে এটিকে মোহনবাগানের।

দলের রক্ষণের দুই স্তম্ভ না থাকলেও শনিবারের ম্যাচ যে তাদের কাছে বিরাট কঠিন লড়াই, এমনটা মানছেন না ফেরান্দো। বলেছেন, “আমরা নিজেদের পরিকল্পনা ও কৌশল বজায় রেখেই খেলব। কিছু ছোটখাটো ব্যাপারে আরও নজর দিতে হবে। তবে ফুটবলে এমন হয়েই থাকে। এমন পরিস্থিতিও আসে যখন নিজেদের পরিকল্পনা বদলাতে হয়, ঝুঁকি নিতে হয়। কখনও সাফল্য আসে, কখনও আসে না। এটাই ফুটবল। ছেলেদের প্রতি আমার আস্থা আছে। আশা করি, গত ম্যাচের চেয়ে আমরা কাল অনেক ভাল খেলব।”

প্রাক মরসুমে ভাল ভাবে প্রস্তুতি না হওয়াতেই কি বেশি চোট-আঘাত হচ্ছে? ফেরান্দো মানতে চাননি। বলেছেন, “আমার সেটা মনে হয় না। আমাদের খেলোয়াড়রা বেশির ভাগই দুর্ভাগ্যবশত চোট পেয়েছে। তিরির কথাই ধরুন। অনেকেরই ছোটখাটো চোট লেগেছে। ফুটবলে কঠিন মুহূর্ত প্রায়ই আসে। পেশিতে চোট লেগেই থাকে। এর জন্য কোনও নির্দিষ্ট কারণ আছে বলে মনে করি না। তিরির চোট হলেও হুগো বুমোস এখন অনেক ভাল আছে। ৯০ শতাংশ ফিট। কাল ম্যাচের আগে পর্যন্ত ওর জন্য অপেক্ষা করব।”

তবে ফেরান্দো এটা মেনে নিয়েছেন, বাকি দলগুলি যে ভাবে ম্যাচের মধ্যে রয়েছে, ততটা তারাই। সেটাই তফাত গড়ে দিচ্ছে। বলেছেন, “গোকুলম গত এক মাস ধরে খেলার মধ্যে রয়েছে। ১৯ এপ্রিলের পর থেকে আমরা আর কোনও প্রতিযোগিতা খেলিনি। তবে অজুহাত দিতে চাই না। গোকুলম গত এক মাসে যতটা ফুটবল খেলেছে, আমরা সেই সুযোগ পাইনি। তবে ফুটবলে এগুলো হয়েই থাকে। যা হয়ে গিয়েছে তা নিয়ে ভাবছিই না।”

ফেরান্দো মনে করছেন, শনিবারের লড়াই মনস্তাত্ত্বিক হতে চলেছে। বলেছেন, “এই ম্যাচে সত্যিই মনস্তাত্ত্বিক লড়াইটা বেশি। বিশ্রামের জন্য আমরা মাত্র এক দিন হাতে পেয়েছি। প্রস্তুতির জন্য বেশি সময় পায়নি কোনও দলই। দুটো ম্যাচের মাঝখানে ছ’-সাত দিন থাকলে অনেক ভাবনাচিন্তা করা যায়। এই দু’দিনে দলের পারফরম্যান্স, মানসিকতা দুই দিক নিয়েই ভেবেছি। তাই জানি, দলের ছেলেরা এখন পরের ম্যাচের জন্য মানসিক ভাবে তৈরি।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy