ছবি পিটিআই।
ভারত-বাংলাদেশ দিনরাতের টেস্টের প্রথম দু’দিন হাউসফুলের দিকে এগোচ্ছে ইডেন গার্ডেন্স। এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। শনিবার রাতেই সিএবি-র পক্ষ থেকে টুইট করা হয়েছে, ‘‘ভারত-বাংলাদেশ টেস্টের প্রথম তিন দিন ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে।’’ সিএবি কর্তৃপক্ষের আশা ১৪ নভেম্বরের পরে, কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া শুরু হলে প্রথম তিন দিনের কোনও আসনই ফাঁকা পড়ে থাকবে না।
টেস্টে দর্শকাসন কেন ভর্তি হচ্ছে না, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। সচিন তেন্ডুলকর বলেছিলেন, ‘‘এমন পিচ তৈরি করা উচিত যেখানে বোলাররাও কিছুটা সাহায্য পাবে। তবেই না ব্যাট ও বলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে ভর্তি হবে দর্শকাসন।’’ বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যদিও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিনরাতের টেস্ট আয়োজন করে দর্শকাসন ভরানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। গোলাপি বলে খেলার সঙ্গেই সমর্থকদের জন্য থাকছে একাধিক আকর্ষণের কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই ২০০০ সালের প্রথম ভারত-বাংলাদেশ টেস্টের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁদের সংবর্ধিত করা হবে সিএবি-র পক্ষ থেকে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডেনের বেল বাজিয়ে টেস্টের সূচনা করতে চলেছেন তাঁরা।
এখানেই শেষ নয়। ক্রীড়াজগতের একাধিক ব্যক্তিত্বকে সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সিএবি-র। লিয়েন্ডার পেজ, সানিয়া মির্জা, পি ভি সিন্ধুরা থাকছেন ঐতিহাসিক টেস্টের সাক্ষী হতে। এমনকি ভারতের প্রাক্তন টেস্ট অধিনায়কদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে টেস্টের প্রথম দিন। গোলাপি বলে দিনরাতের টেস্ট দেখার সঙ্গেই সমর্থকেরা যদি তাঁদের প্রিয় তারকাদের দেখার সুযোগ পান তা হলে মাঠ কেনই বা ভর্তি হবে না!
আরও পড়ুন: ‘বাবার সাধনায় তৈরি হয়েছি, মাহি ভাইয়ের কাছেও কৃতজ্ঞ’
সিএবি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রতিনিধিরা সিএবি আসবেন। সচিব অভিষেক ডালমিয়া ও বাকি কর্তাদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণের বৈঠক রয়েছে। সেখানেই ঠিক করা হবে, আকর্ষণের সঙ্গেই নিরাপত্তার দিক থেকে কী ভাবে সুরক্ষিত টেস্ট আয়োজন করা যায়।
সিএবি-র পরিকল্পনা, শহরজুড়ে গোলাপি হোর্ডিং বসানো হবে। রাঙিয়ে দেওয়া হবে গোলাপি আলোয়। ইডেন সংলগ্ন প্রত্যেকটি ঐতিহ্যবাহী ভবন ও বহুতল এবং কলকাতা পুরসভার আওতাভুক্ত উদ্যানগুলোকেও দিন-রাতের টেস্ট চলার সময়ে গোলাপি আলো দিয়ে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে সিএবি-র। এ ব্যাপারে সিএবি-র তরফে কলকাতা পুরসভার কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। কর্তারা আশাবাদী, সেই অনুমতি পাওয়া যাবে। ম্যাচের আগে আয়োজন করা হয়েছে হেলিকপ্টার শো। সেখান থেকে ফুল ছড়িয়ে ক্রিকেটারদের স্বাগত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: গোলাপি বলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান পুজারা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy