জুটি: ফেডেরারের এক নম্বর সমর্থক, স্ত্রী মিরকা। —ফাইল চিত্র।
সপ্তাহ খানেক পরে শুরু হয়ে যাচ্ছে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম, যুক্তরাষ্ট্র ওপেন। তার আগে নিজেকে নিয়ে কী ভাবছেন রজার ফেডেরার?
প্রশ্ন: আপনি টেনিসের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু আপনি কাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন?
ফেডেরার: বেশ কয়েকটা নাম করতে পারি। যেমন ইউসেইন বোল্ট, মাইকেল জর্ডান, লেব্রন জেমস, ভ্যালেন্টিনো রোসি, মিশায়েল শুমাখার। ওরা সেই সব ক্রীড়াবিদ যারা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফর্ম করে গিয়েছে বছরের পর বছর ধরে। আমার বয়স যখন অল্প ছিল, তখন এদের দেখে ভাবতাম, কী ভাবে এরা দিনের পর দিন ‘ম্যাচ রেডি’ অবস্থায় নিজেদের নিয়ে যেতে পারে। প্রত্যেকটা দিন এরা নিজেদের একশো শতাংশ দিত। তরুণ অবস্থায় আমি দীর্ঘ দিন ধরে বুঝতে পারিনি, কী করে এটা করা সম্ভব। তার পর ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করি। নিজের রাস্তা বার করি। এমন টিম তৈরি করি, যারা আমাকে এই কাজে সাহায্য করবে।
প্র: পাঁচ বছর আপনি কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেননি। তখন কি ভেবেছিলেন আবার নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে পারবেন?
ফেডেরার: হ্যাঁ, অবশ্যই ভেবেছিলাম। আমার টিমও বিশ্বাস করত, আমি ফিরে আসতে পারব। ব্যাপারটা এমন ছিল না যে, আমার টিমকে আমি টেনে নিয়ে যাচ্ছি। বরং আমার টিম আমাকে টেনে নিয়ে গিয়েছে। সাফল্য আর ব্যর্থতার মধ্যে তফাত করে দেয় টিমের এই কয়েক শতাংশ অবদান।
প্র: আপনার টিম কী ভাবে আপনাকে সাহায্য করেছিল?
ফেডেরার: নিজের দক্ষতার ওপর ভরসা হারিয়ে ফেললে ওরা বুঝিয়েছে। আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আবার সাফল্য পাওয়ার পরে হাওয়ায় উড়লে ওরা বাস্তবের জমিতে টেনে নামিয়েছে। আমি ওদের জিজ্ঞেস করতাম, তোমরা কী মনে করো, আমার পক্ষে বড় কোনও টুর্নামেন্ট জেতা সম্ভব? বা আমি কি আর ধারাবাহিক ভাবে বিশ্বসেরাদের হারাতে পারব? উত্তরগুলো মোটামুটি একই রকম পেতাম। ওরা বলত, তুমি যদি একশো ভাগ সুস্থ থাকো, প্রস্তুতিতে কোনও ঘাটতি না থাকে, তোমার খেলার খিদেটা মরে না যায়, তা হলে সব কিছুই সম্ভব। কিন্তু এর মধ্যে কোথাও যদি ফাঁক থেকে যায়, তা হলে কিন্তু সমস্যা হবে। ওই ফর্মুলা মেনেই আমি সাফল্যের রাস্তায় ফিরেছি। গত বছর বিশ্রাম নিয়ে নিজেকে শারীরিক ভাবে একশো ভাগ সুস্থ করেছি।
প্র: এত বছর ধরে আপনি লড়াই করে চলেছেন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। কী ভাবে?
ফেডেরার: খেলার প্রতি আমার ভালবাসা এখনও অটুট। আমার স্ত্রী চায়, আমি এখনও খেলা চালিয়ে যাই। ও আমার এক নম্বর সমর্থক। ও অসাধারণ। আমিও খেলার জন্য এই ছোটাছুটি করাটা ভালবাসি।
প্র: আপনি এ মাসে ছত্রিশ বছরে পড়লেন। কী রকম লাগছে?
ফেডেরার: আমি পাঁচটা কেক পেয়েছিলাম। পাঁচটাই বেশ বড় বড় ছিল। এক সপ্তাহ লেগেছে কেকগুলো খেতে। তার পর দিনটা আমার টিমের সঙ্গে কাটালাম। প্র্যাকটিস করলাম। সন্ধ্যায় সবাই এক সঙ্গে খেলাম। তার পর ‘কোল্ড প্লে’ ব্যান্ডের শো দেখতে গেলাম। দারুণ কেটেছিল দিনটা। ঠিক করেছি, পরে পরিবারের সঙ্গে একবার উৎসব করব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy