প্রস্তুতি: ইংল্যান্ডের প্র্যাক্টিসে হ্যারি কেন। সোমবার। ছবি রয়টার্স।
সেমিফাইনালে হারের ভূতের আতঙ্ক থেকে মুক্ত হতে মরিয়া ইংল্যান্ড!
১৯৬৬ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের পরে কোনও আন্তর্জাতিক খেতাব জেতেনি ইংল্যান্ডের সিনিয়র জাতীয় ফুটবল দল। ১৯৯০ ও ২০১৮ সালে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালেই শেষ হয়ে গিয়েছিল তাদের অভিযান। একই অবস্থা হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ইউরোতে। এ বার ইউরোর সেমিফাইনালে ডেনমার্কের মুখোমুখি গ্যারেথ সাউথগেটের দল।
বুধবার ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে নামার আগে ইংল্যান্ড কোচও সে ব্যাপারে অবহিত। বলেছেন, ‘‘অতীতে বহু বার সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছি আমরা। সে রকমই একটি পরীক্ষা ফের আমাদের সামনে। শেষ চারে পৌঁছেছি বলে আত্মতুষ্ট হওয়ার কিছু নেই। তিন বছর আগে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারের পরে দলের মধ্যে প্রবল হতাশা তৈরি হয়েছিল। ছেলেরা সেটা মনে রেখেছে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘তিন বছর আগে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কী ভুল করেছিলাম, সেগুলো মনে করছি। ওয়েম্বলিতে ফের খেলতে চলেছি। সেটাও ইতিবাচক ব্যাপার।’’
এ দিকে, করোনা সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য ডেনমার্কের সমর্থকেরা ইংল্যান্ডে খেলা দেখতে আসতে পারছেন না। যা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন সেই দেশের সমর্থকেরা। তবে এরই মধ্যে ডিফেন্ডার আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন হুঙ্কার ছেড়েছেন, ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেনকে থামানোর রাস্তা জানা রয়েছে তাঁর।
এ বারের ইউরোর নকআউট পর্বে তিন গোল করেছেন কেন। তাঁর সম্পর্কে ক্রিস্টেনসেন সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘হ্যারির গুণ জানা রয়েছে আমাদের। ওকে কী ভাবে আটকাতে হবে, সে ব্যাপারে দলের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমাদের দলের ফুটবলার পিয়ের-এমিল হোয়বার্গ টটেনহ্যামে হ্যারির সঙ্গেই খেলে। ওর থেকেই আমরা ইংল্যান্ড অধিনায়কের সম্পর্কে অনেক খুঁটিনাটি তথ্য পাচ্ছি। এ বার তা কাজে লাগিয়েই ওকে আটকাতে চাই আমরা।’’ যোগ করেছেন, ‘‘কেন একজন দুর্দান্ত ফিনিশার। ওর পায়ের কাজ চমৎকার। বড় চেহারা। তাই ওর শরীরে ঢুকে লাভ নেই। অন্য ভাবে, ওকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য তৈরি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy