Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
2019 Cricket World Cup

Eoin Morgan: বিশ্বকাপ ফাইনালকে সব চেয়ে নাটকীয় ম্যাচ বলছেন মর্গ্যান

২০০৭ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ওয়ান ডে ক্রিকেটে ভয়ঙ্কর সময় যাচ্ছিল ইংল্যান্ডের। সেই জায়গা থেকে দলকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার পরিশ্রম ছিল অকল্পনীয়।

স্মৃতি: বিশ্বকাপ জয়ের সেই দিন ভুলতে পারেননি মর্গ্যান।

স্মৃতি: বিশ্বকাপ জয়ের সেই দিন ভুলতে পারেননি মর্গ্যান। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২১ ০৭:২০
Share: Save:

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিনে অধিনায়ক অইন মর্গ্যান জানিয়ে দিলেন, ক্রিকেট ইতিহাসের সব চেয়ে নাটকীয় ম্যাচ হয়েছিল লর্ডসে। ফাইনালে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ টাই হওয়ার পরে সুপার ওভারেও সমান রান করে দুই দল। ম্যাচের ফয়সালা হয় সর্বোচ্চ বাউন্ডারির ভিত্তিতে।

আইসিসি-র সেই নিয়ম নিয়ে পরে তীব্র প্রতিবাদ জানায় ক্রিকেটবিশ্ব। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পরেও সেই রাতের কথা ভুলতে পারেননি নিউজ়িল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা। জিমি নিশাম এখনও টুইটারে কটাক্ষ করেন আইসিসি-কে। কিন্তু মর্গ্যানের কাছে সেই দিনের স্মৃতি মধুর। টানা ব্যর্থতার পরে এই প্রথম কোনও বড় প্রতিযোগিতা জিতেছিল ইংল্যান্ড। ২০০৭ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ওয়ান ডে ক্রিকেটে ভয়ঙ্কর সময় যাচ্ছিল ইংল্যান্ডের। সেই জায়গা থেকে দলকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার পরিশ্রম ছিল অকল্পনীয়।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওয়েবসাইট কেকেআর ডট ইনকে মর্গ্যান বলেছেন, ‘‘আমার মতে ক্রিকেটের সব চেয়ে আকর্ষণীয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ ছিল বিশ্বকাপ ফাইনাল। এই ম্যাচ প্রমাণ করে দেয়, ক্রিকেটের মান কোথায় গিয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘এতটাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে যে, আগে কখনও এ ধরনের ম্যাচ হয়েছে বলে মনে পড়ে না।’’

১৯৯২ সালে শেষ বার ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। তাদের হারিয়ে কাপ তুলে নেয় পাকিস্তান। তার পর থেকে ২০১৫ পর্যন্ত কোনও বার সফল হতে পারেনি তারা। ২০১৫ বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। যা থামাতে সাহায্য করেন মর্গ্যান। তিনি বলেছেন, ‘‘২০০৭ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আমরা খুব খারাপ পারফর্ম করেছি। ওয়ান ডে ক্রিকেটে বাকি দেশগুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে ছিলাম। অ্যাশেজ় অথবা টেস্ট সিরিজের আগে যে ভাবে মনোযোগ দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হত, বিশ্বকাপের আগে তা হত না। তার প্রতিফলন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজ়িল্যান্ডের বিশ্বকাপে কোনও টেস্ট খেলিয়ে দেশকে হারাতে না পারা। তাই ঠিক করেছিলাম, ২০১৯ সালে ভাল কিছু করতেই হবে।’’

২০১৫ সালের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর থেকেই আগামী বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করে দেন মর্গ্যানরা। বলেছেন, ‘‘সেই চারটি বছর সব চেয়ে বেশি ম্যাচে আমরা তিনশোর বেশি রান করেছিলাম। সাড়ে তিনশো রান আমরাই সব চেয়ে বেশি করেছি। চারশো রানের রেকর্ডও আমাদের সব চেয়ে বেশি ছিল। এমনকি সাড়ে চারশো রানের গণ্ডিও আমরাই সব চেয়ে বেশি পার করি। এ ভাবেই ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে দলের। বিশ্বকাপে সেটাই কাজে লাগায় প্রত্যেকে। এখনও সেই দিনটার কথা মনে পড়লে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।’’

মর্গ্যানের সামনে এ বার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার সুযোগ রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার আগে এ ধরনের সিরিজ জেতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ান ডে সিরিজে খেলা হয়নি তাঁদের। ইংল্যান্ড শিবিরে করোনার সংখ্যা বাড়তে থাকায় একেবারে দ্বিতীয় সারির দল নামিয়েছিল ইংল্যান্ড। অধিনায়ক করা হয়েছিল বেন স্টোকসকে। সেই দলই পাকিস্তানকে ৩-০ সিরিজ হারিয়ে চর্চায় উঠে আসে। মর্গ্যানের সামনে এ বার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার চ্যালেঞ্জ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE