ফাইল চিত্র।
দুই পেসার, দুই স্পিনার? না কি তিন পেসার, এক স্পিনার? সঙ্গে অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ভারতের বিরুদ্ধে বোলিং আক্রমণ কী হবে, তা মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠিক করে উঠতে পারেনি ইংল্যান্ড। যে কারণে এ দিন দুপুরের সাংবাদিক বৈঠকে এসে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট জানিয়ে দিলেন, তাঁরা চূড়ান্ত একাদশ বেছে নেওয়ার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান।
বুধবার, চূড়ান্ত এগারো বেছে নেওয়ার আগে দুটো ব্যাপার দেখে নিতে চায় ইংল্যান্ড। এক, পিচ আরও শুকনো হয় কি না। দুই, রাতে শিশির বড় কোনও সমস্যা হয়ে দেখা দেয় কি না। এ দিন ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে রুট বলেন, ‘‘পিচে হাল্কা ঘাস আছে। তবে যত সময় গিয়েছে এই পিচটা ক্রমশ শুকনো হচ্ছে। যেটা প্রত্যাশিত ছিল। আমাদের দেখতে হবে, কাল এই পিচের অবস্থা কী রকম থাকে। তা ছাড়া রাতে কতটা শিশির পড়ে, সেটা এ দিনের প্র্যাক্টিসে আরও ভাল করে দেখে নিতে হবে। প্রথম এগারো ঠিক করার আগে এই নতুন মাঠ সম্পর্কে যতটা তথ্য সংগ্রহ করা যায়, করতে হবে।’’
রাতে নেট প্র্যাক্টিসের সময় ইংল্যান্ড শিবির দেখেছে, পেসারদের বল ভালই নড়াচড়া করছে। যে কারণে তিন পেসার খেলানোর একটা অঙ্ক রুটদের মাথায় আছে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু জিমি অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রডকে একসঙ্গে খেলানো হতেও পারে। গত তিন বছরে তিনটি দিনরাতের টেস্ট খেলেছে ইংল্যান্ড। তিনটেতেই ব্রড-অ্যান্ডারসন একসঙ্গে খেলেছেন। তিনটে টেস্টে অ্যান্ডারসনের সংগ্রহ ১৪টি উইকেট, ব্রডের ১০টি।
ব্রড-অ্যান্ডারসনকে কি মোতেরায় এই দিনরাতের টেস্টে একসঙ্গে খেলতে দেখা যেতে পারে? প্রশ্নের জবাবে রুট বলেছেন, ‘‘অবশ্যই ওদের (ব্রড-অ্যান্ডারসন) একসঙ্গে খেলার একটা সম্ভাবনা আছে। এখানে বল কিছুটা নড়াচড়া করতে পারে। সেটা আমাদের পক্ষে ভাল খবর।’’ সে রকম হলে এক স্পিনার এবং জফ্রা আর্চার-ব্রড-অ্যান্ডারসন দিয়ে পেস আক্রমণ সাজাতে পারে ইংল্যান্ড। সঙ্গে স্টোকস তো আছেনই। তবে ক্রিস ওক্সের খেলারও সম্ভাবনা আছে। যদি ইংল্যান্ড তাদের ব্যাটিং মজবুত করতে চায়। দুই স্পিনার খেললে ব্রড-অ্যান্ডারসন জুটিকে হয়তো দেখা যাবে না। স্টোকস আবার বলেছেন, তাঁদের পেসাররা দিনরাতের টেস্টে বল করার জন্য মুখিয়ে আছেন। তিনি এও জানিয়েছেন, গত কাল কৃত্রিম আলোয় নেট প্র্যাক্টিসের সময় বল গুডলেংথ স্পট থেকে বাউন্স করে ব্যাটসম্যানদের শরীরে আঘাত করে। ফলে নেটে আর পেসাররা বল করেননি।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক নিশ্চিত, এই পিচে বল ঘুরবে। তবে কখন ঘুরবে, সেটাই প্রশ্ন। রুটের কথায়, ‘‘এই পিচে বল স্পিন করবেই। কিন্তু দেখতে হবে, কখন করে। এমন হতে পারে, প্রথম টেস্টে যেমন একটু পরের দিক থেকে বল ঘুরেছিল, এখানেও সে রকম
হতে পারে।’’
গোলাপি বলের টেস্টে ভারত-ইংল্যান্ড, দু’দলেরই শেষ অভিজ্ঞতাটা মোটেই ভাল নয়। ২০১৮ সালে অকল্যান্ডে, নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ৫৮ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। আর মাস কয়েক আগে অ্যাডিলেডের দিনরাতের টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত অলআউট হয় ৩৬ রানে। ব্যাপারটা মাথায় রেখেছেন রুট। বলছেন, ‘‘এটা যেন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। হঠাৎ, হঠাৎ ব্যাটিং ধস নেমে যায়। এটা ম্যাচের যে কোনও সময় হতে পারে। এমনটা নয় যে শুধু গোধূলিতেই ব্যাটিং ধস নামল। ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, যাতে এ রকমটা আর না হয়।’’
রুট মনে করেন, গোলাপি বলে প্রথম ২০টা ডেলিভারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, ‘‘ব্যাটসম্যান হিসেবে ওই ২০টা বলে খুব সতর্ক থাকতে হয়। বলের লাইনটা বুঝতে হয়, মানিয়ে নিতে হয়। শুধু যে গোধূলিতেই সমস্যা হবে, এমনটা নয়। যখনই ব্যাট হাতে নামতে হবে, প্রথম ২০টা বল সতর্ক হয়ে খেলতে হবে।’’ সিরিজের প্রথম দু’টেস্টে ১৭ উইকেট নেওয়া ভারতীয় অফস্পিনার আর অশ্বিনকে নিয়ে রুট বলেন, ‘‘অশ্বিন দারুণ বোলার। যে কোনও পরিবেশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে। আমরা সব রকম পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই অনুশীলন করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy