কান্ডারি: দলের মনোভাব বদলে দিয়েছেন কোহালি। ফাইল চিত্র
মাঠে তাঁর আগ্রাসন, তাঁর আবেগ প্রদর্শন নিয়ে অনেক কথাই হয়েছে। ইয়ান চ্যাপেলের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার তো এও বলেছিলেন, অতিরিক্ত আগ্রাসন কোহালির নেতৃত্বে প্রভাব ফেলবে, ক্ষতি করবে। কিন্তু সেই ধারণা থেকে সরে এসেছেন চ্যাপেল। তিনি বলছেন, কোহালির এই মানসিকতা দলের উপকারই করেছে।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট, ক্রিকইনফো-তে নিজের কলামে চ্যাপেল লিখেছেন, ‘‘কোহালি যখন শুরুতে অধিনায়ক হয়েছিল, বিশেষ করে টেস্ট দলের, তখন আমি ভেবেছিলাম ওর অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ মানসিকতা নেতৃত্বের উপরে প্রভাব ফেলবে, ক্ষতি করবে। কিন্তু এখন দেখছি, ও নিশ্চিত করেছে, আবেগ প্রদর্শনে দলের কোনও ক্ষতি যেন না হয়। উল্টে কোহালির এই মানসিকতা ওকে সাহায্যই করছে। এমন একটা দল তৈরি করতে পেরেছে, যারা বিদেশেও সহজে জিতছে।’’
রবিবারই নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে সিরিজ ৫-০ করে ফেলল ভারত। কেন এই দলটা বিদেশে এত সফল, তাও ব্যাখ্যা করেছেন চ্যাপেল। তিনি মনে করেন, কোহালির নেতৃত্বে ভারত এখন বহুমুখী ক্ষমতা দেখাচ্ছে। যার ফলে বিদেশেও এত ভাল ফল হচ্ছে। চ্যাপেলের কথায়, ‘‘কোহালির অধিনায়কত্বে ভারতীয় দল ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলে চলেছে। তিন ধরনের ক্রিকেটে বিভিন্ন ধরনের ক্রিকেটার খেলা সত্ত্বেও ওরা টানা জিতে চলেছে। কোহালির নেতৃত্বে এই দলটা বহুমুখী ক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে উঠেছে। যে কারণে বিদেশেও এত দাপট দেখাচ্ছে।’’
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়কের মতে, ‘‘কী ভাবে কোন ম্যাচে খেলা উচিত, সে সম্পর্কে কোহালির খুব পরিষ্কার একটা ধারণা আছে। ওর কথা শুনলেই সেটা বোঝা যায়। টেস্টের ব্যাটিংয়ে যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে, তার জন্য সীমিত ওভারের ম্যাচে বিশেষ, বিশেষ শট খেলে কোহালি। এই নিয়ে কোহালির কথা শুনলে বোঝা যায়, খেলাটা সম্পর্কে ওর দৃষ্টিভঙ্গি কতটা পরিষ্কার।’’
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে কোহালির দল (৭ টেস্টে ৩৬০ পয়েন্ট। দু’নম্বরে অস্ট্রেলিয়া ১০ টেস্টে ২৯৬)। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে ওয়ান ডে সিরিজে হারানোর পরে নিউজ়িল্যান্ডে এসে সব ক’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়। এই দুরন্ত পারফরম্যান্সের জন্য কোহালিকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন চ্যাপেল। বলেছেন, ‘‘জয়ের মানসিকতা তৈরি করে দেওয়ার জন্য অধিনায়ক কোহালিকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। এক জন অধিনায়ক যখন ধারাবাহিক ভাবে ম্যাচ জেতায়, যখন হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে আনে, তখন সবাই বিশ্বাস করে যে কোনও জাদুকর দলকে
নেতৃত্ব দিচ্ছে।’’ এখানেই শেষ নয়। চ্যাপেল আরও লিখেছেন, ‘‘নেতা হিসেবে কোহালিকে সবাই সম্মান করে। ওর থেকে প্রেরণা খোঁজে। দলের ক্রিকেটাররা বিশ্বাস করে, কোহালি নেতৃত্বে থাকলে ভাল কিছু হবে।’’
কোহালি যে ভাবে দলের ফিল্ডিং এবং ফিটনেস সংস্কৃতি বদলে দিয়েছেন, তারও প্রশংসা করেছেন চ্যাপেল, ‘‘ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য সব কীর্তি গড়া ছাড়াও অধিনায়ক হিসেবে আরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাস্তা দেখিয়েছে কোহালি। ফিটনেসের মান বাড়ানো, ফিল্ডিং ভাল করার উপরে ভীষণ গুরুত্ব দেওয়া, এই সব ব্যাপারগুলো ভারতকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে।’’
চ্যাপেল মনে করেন, কোহালিকে দেখে উপকৃত হয়েছেন রোহিত শর্মাও। তিনি লিখেছেন, ‘‘কোহালিকে সামনে পেয়ে রোহিতের অনেক লাভ হয়েছে। নিউজ়িল্যান্ড সিরিজের প্রথম সুপার ওভারের ম্যাচে সেটা বোঝা গিয়েছে। পরপর দুটো ছয় মেরে ম্যাচ জেতানোর মধ্যে দিয়ে রোহিত বুঝিয়ে দিয়েছে, আত্মবিশ্বাসটা কী ভাবে দলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy