যুগলবন্দি: ইস্টবেঙ্গলের সাংবাদিক বৈঠকে ভাইচুং ভুটিয়া ও ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
পয়লা অগস্ট ক্লাবের শততম জন্মদিনে বিশ্বের ২০০টি দেশে লাল-হলুদ পতাকা তোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
কোথাও প্রাক্তন বিদেশি ফুটবলার, কোথাও বা ক্লাবের সদস্য-সমর্থকেরা তাঁদের দেশের সময় মেনে ঠিক দুপুর বারোটায় পতাকা তুলবেন। কাজটা কঠিন, তবে শেষ পর্যন্ত এটা হলে তা হবে অভিনব ঘটনা। ক্লাব কর্তাদের দাবি, ইতিমধ্যে দেড়শোরও বেশি দেশে ক্লাবের সদস্য-সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্মতি আদায় করেছেন তাঁরা। কিছু ফুটবলারও আছেন সেই দলে।
শতবর্ষ উদযাপনের মঞ্চে ক্লাবের জীবিত সমস্ত অধিনায়ককে সম্মানিত করবে ইস্টবেঙ্গল। যাঁদের দেখে ফিরবে ক্লাবের অসংখ্য গৌরবের সুখস্মৃতি।
‘ভারতগৌরব’ সম্মানে ভূষিত করা হবে বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক কপিল দেবকে। যিনি ক্লাবের হয়ে ময়দানে খেলে গিয়েছেন।
আইকন ফুটবলারের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ভাইচুং ভুটিয়াকে।
একশো বছরের সেরা কোচের সম্মান পাবেন প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘জীবনকৃতি’ সম্মানে ভূষিত করা কবে ক্লাবের দুই ‘ঘরের ছেলে’ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়কে।
বুধবার ক্লাব তাঁবুতে সাংবাদিক বৈঠকে শতবর্ষের তিনটি অনুষ্ঠানের চমকপ্রদ নানা বিষয় যখন ঘোষণা করছেন ক্লাব কর্তারা, তখন উপচে পড়া ভিড়। মঞ্চে ছিলেন মনোরঞ্জন, ভাস্কর এবং ভাইচুং। আর মঞ্চের পাশে বসে ক্লাবে খেলে যাওয়া অসংখ্য তারকা ফুটবলার। সুরজিৎ সেনগুপ্ত থেকে মিহির বসু, সুকুমার সমাজপতি থেকে প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়— কে ছিলেন না সেখানে?
শোনা যাচ্ছিল, পড়শি ক্লাব মোহনবাগানের আদলে শতবর্ষে রজার মিল্লার মতো কোনও তারকা ফুটবলার বা ক্যামেরুনের মতো বিশ্বখ্যাত কোনও দলকে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। প্রদর্শনী ম্যাচ খেলার জন্য। কিন্তু অর্থের অভাবে তা আটকে আছে বলেই খবর। তাই কোনও ঘোষণাও এ দিন করা হয়নি। ক্লাবে খেলে যাওয়া সর্বকালের সেরা বিদেশি মজিদ বাসকারও আসবেন কি না, তা বলতে পারেননি কর্তারা। ক্লাবের শতবর্ষের লোগো এবং নানা ‘ক্যাচ লাইন’ উদ্বোধনের পরে শীর্ষ কর্তারা জানিয়েছেন, ‘‘দু’বছর ধরে চলবে অনুষ্ঠান। অনেক কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার মধ্যে ফুটবল ম্যাচও আছে।’’ এ দিন যে সব অনুষ্ঠানের কথা জানানো হয়, তাতে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ক্লাবের ঐতিহ্য, সম্মান প্রদর্শন এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে শামিল করার প্রচেষ্টা। ফুটবলের বাইরেও ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, নাট্যকার রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তদেরও সে জন্যই সম্মান জানানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সুরেশচন্দ্র চৌধুরী, নসা সেন থেকে জ্যোতিষ চন্দ্র গুহ, পল্টু দাসদের পরিবারের সদস্যদের সম্মান জানানো হবে। ১৯২০ সালে যে অঞ্চল থেকে ইস্টবেঙ্গলের যাত্রা শুরু, সেই কুমারটুলি পার্ক থেকে মশাল মিছিল হবে ২৮ জুলাই। ওই অনুষ্ঠানের পর ১ অগস্ট হবে উৎসবের মূল সূচনা। তার পরে এই পর্বের শেষ অনুষ্ঠানটি হবে ১৩ অগস্ট। ক্লাব কর্তারা সাংবাদিক সম্মেলনে এলেও ফুটবল দলের বিনিয়োগকারীদের কাউকে দেখা যায়নি। আসেননি দলের বর্তমান কোনও ফুটবলারও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকেও। কিন্তু তিনি আসেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy