প্রতীক্ষা: মোহনবাগান মাঠে ডার্বি ম্যাচের টিকিট কেনার লাইন। কিন্তু করোনাভাইরাসের জেরে বন্ধ করা হল টিকিট বিক্রি। বৃহস্পতিবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
মোহনবাগান মাঠে সকাল থেকেই ডার্বির টিকিট কাটার লন্বা লাইন। আই লিগ জেতা কিবু ভিকুনার দলের জয় দেখার প্রত্যাশায় হাসিমুখে টিকিট পকেটে পুরে ফিরে যাচ্ছিলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা।
ইডেনে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা একদিনের ম্যাচের টিকিটও বিক্রি হতে শুরু করেছিল সকাল থেকেই।
বিকেল চারটে নাগাদ করোনাভাইরাসের জন্য মাঠে কোনও দর্শক ঢোকানো যাবে না, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের সিদ্ধান্তের এই চিঠি পৌঁছে যায় ময়দানের বিভিন্ন ক্লাবে এবং সংস্থায়। তার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় দুই মাঠেরই টিকিট বিক্রি। ইডেনে তেমন সমস্যা না হলেও, মোহনবাগান মাঠে তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। টিকিটের আশায় কয়েকশো দর্শক ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন সন্ধ্যা পর্যন্ত। নেমে আসে হতাশা।
কিবুর সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হওয়ার পর মোহনবাগান অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত সেই মঞ্চ থেকেই জানিয়ে দেন, ‘‘আমরা শুনছি ডার্বি-সহ আই লিগের সব ম্যাচই দর্শকশূন্য অবস্থায় হবে। তবে যা জানার জানাবে ফেডারেশন।’’মোহনবাগানের স্পেনীয় কোচ সেই খবর শুনে হতভম্ব হয়ে যান। পরে তাঁর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে সবুজ-মেরুন কর্তারা জানিয়ে দেন, ফাঁকা মাঠে ডার্বি হবে। মোহনবাগানও খেলবে। তিনি যেন সূচি অনুযায়ী অনুশীলন চালিয়ে যান।
ইডেনের ১৮ মার্চের ক্রিকেট ম্যাচ দর্শকশূন্য অবস্থায় করার সিদ্ধান্ত কার্যত নিয়ে ফেলেছে সিএবি। মারগাওয়ের ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ফাইনালও ফাঁকা মাঠে হচ্ছে, সরকারি ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আই লিগ নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও সিদ্ধান্ত এ দিন জানায়নি ফেডারেশন। আজ শুক্রবার সকালে আই লিগের সব ক্লাবের সঙ্গে স্কাইপে আলোচনা করে সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। ফেডারেশন সূত্রের খবর, করোনাভাইরাস নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো নির্দেশের বিরুদ্ধে যেতে রাজি নন কুশল দাশ, সুনন্দ ধর-রা। দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম রেখেই ডার্বি-সহ আই লিগের সব ম্যাচ করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তাঁরা। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আপাতত দর্শকশূন্য মাঠে খেলার যে নির্দেশ এসেছে, সেটা মানবেন তাঁরা।
কিন্তু বেঁকে বসেছে ডার্বির সংগঠক ইস্টবেঙ্গল। বর্তমান পরিস্থিতিতে দর্শকশূন্য মাঠে মোহনবাগানের মুখোমুখি হতে রাজি নয় লাল-হলুদ। ইস্টবেঙ্গলের এক শীর্ষ কর্তা এ দিন বলে দিয়েছেন, ‘‘লম্বা লিগ। ৩১ মে পর্যন্ত ফুটবল মরসুম রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যেমন ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভিসা দেওয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তেমনই খেলা এক মাস বন্ধ রেখে দেখা হোক। তারপর দেশের পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আমরা শুক্রবারের আলোচনায় সেটাই বলব।’’ ইস্টবেঙ্গলের বক্তব্য জেনে আই লিগের এক কর্তা বলে দেন, ‘‘এক মাস লিগ পিছিয়ে দিলে করোনাভাইরাস সব দেশ ছেড়ে চলে যাবে, এই গ্যারান্টি কে দেবে?’’ জানা গিয়েছে, মোহনবাগান মাঠে এসে আই লিগ ট্রফি দিয়ে যেতে পারে ফেডারেশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy