ফাইল চিত্র।
আইএসএল এবং আই লিগ যেমন পাশাপাশি চলছিল, সে রকমই আরও তিন বছর চালাতে চায় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনসের (এএফসি) সঙ্গে কথা বলবেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল। বুধবার আই লিগের ছয় ক্লাবের সঙ্গে দিল্লিতে আলোচনার পরে তিনি বলে দিলেন, ‘‘দুটো টুনার্মেন্টই গুরুত্বপূর্ণ। এএফসি অনুমতি দিলে, আরও তিন বছর দু’টি প্রতিযোগিতাই পাশাপাশি চলতে পারে।’’
কিন্তু সর্বোচ্চ লিগের মর্যাদা পাবে কোন প্রতিযোগিতা? ‘‘ওটা তুচ্ছ। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অনেক ক্লাবই সুযোগ পেয়েছে। তবে তেমন আহামরি ফল দেখা যায়নি। আগে দুটো লিগ নিয়ে সমস্যা মিটুক। সেটাই আসল লক্ষ্য,’’ বলেছেন প্রফুল্ল। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ৯ জুলাই ফেডারেশনের কমর্সমিতির যে সভা হবে সেখানে আইএসএলকেই সর্বোচ্চ লিগের সম্মান দেবে ফুটবল হাউস। অর্থাৎ আইএসএল চ্যাম্পিয়নরাই খেলবে এশিয়ার সর্বোচ্চ লিগে। এবং সেটা হলে ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগানের প্রথম বার দেশের সেরা লিগে খেলার সম্ভবনা থাকছে না। তা হলে আই লিগ চ্যাম্পিয়নরা কোথায় খেলবে? যা খবর, এশিয়া কাপে সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
সুপার কাপ বয়কট করার জন্য মোহনবাগান ছাড়া বাকি ছয় ক্লাবকে যে বিশাল অঙ্কের আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে তা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়নি। ফেডারেশন জানায়, আইনগত কোনও বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনার সুযোগ নেই।
বুধবার ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট, সচিব-সহ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আই লিগের ছ’টি ক্লাব। চেন্নাই সিটি, রিয়াল কাশ্মীর আসেনি। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মিনার্ভা পঞ্জাব, গোকুলম-সহ ছয় দলের প্রতিনিধিরা ছিলেন। তাঁরা সভার পরে ফেডারেশনের সঙ্গে যৌথ সম্মতিপত্রে সই করলেও শুনিয়ে যান, ক্লাবের অন্য কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন। দিল্লির খবর, সভার আগে প্রফুল্ল সমস্ত পক্ষের (এএফসি ও স্পনসর) সঙ্গে আলোচনা করে নানা প্রস্তাব দেন আই লিগের ক্লাবগুলিকে। দু’একটি বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও বাকি সব মেনে নেন ক্লাবেরা প্রতিনিধিরা। যার অর্থ আগামী তিন বছর কলকাতার দুই প্রধানের আই লিগেই খেলার সম্ভবনা প্রবল হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy