উল্লাস: গুয়াহাটিতে ছন্দে থাকা ফ্রান্সকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল স্পেন। জয়ের পরে এ ভাবেই উদ্দাম উৎসবে মাতল তাদের ফুটবলাররা। ছবি: গেটি ইমেজেস
বিতর্কিত রেফারিংয়ের শিকার হয়ে যুব বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ফ্রান্স! শেষ বাঁশি বাজার এক মিনিট আগে প্যারাগুয়ের রেফারি এনরিকে ক্যাসারেস এমন একটি সিদ্ধান্ত নিলেন, যা নিয়ে তোলপাড় ফুটবল বিশ্ব। সোস্যাল মিডিয়ায় উঠেছে ঝড়।
স্পেনের জোসে আলান্সো লারা বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ফ্রান্স বক্সে। বিপক্ষ স্টাইকারকে তাড়া করছিলেন ফ্রান্সের ওউমার সোলে। পরিষ্কার দেখা গেল লারা নিজেই পায়ে পা জড়িয়ে পড়ে গেলেন। এবং উঠে পড়ে তিনি হাত নাড়িয়ে পেনাল্টির দাবি করলেন। প্লে অ্যাক্টিং ধরতেই পারেননি রেফারি। তিনি সবাইকে অবাক করে পেনাল্টি দিয়ে দেন।
অনূর্ধ্ব ১৭-র ফিফা বিশ্বকাপে এতদিন রেফারিদের নিয়ে কোনও বিতর্ক তৈরি হয়নি। গ্রুপ লিগের কোনও ম্যাচে অভিযোগও করেননি কোনও কোচই। কিন্তু যা খবর তাতে গুয়াহাটি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ম্যাচের পর ফ্রান্স কোচ লিওনেল রক্সেলও ঘুরিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেফারির সিদ্ধান্তে। বলে দিয়েছেন, ‘‘শেষ মুহূর্তের ভুলে আমাদের ছিটকে যেতে হল।’’
নায়ক: গোলের পরে স্পেনের মিরান্দার উচ্ছ্বাস। ছবি: গেটি ইমেজেস
রাক্সেলের কাছে এ দিনের ম্যাচটা ছিল বদলা নেওয়ার ম্যাচ। ক্রোয়েশিয়ায় ছ’মাস আগে অনুর্ধ্ব ১৭ ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের কাছে হেরেছিল ফ্রান্স। ছন্দে থাকা আমিনে গুইরিরা নিশ্চিত ছিলেন ভারতে এসে পাল্টে দেওয়া যাবে ছবিটা। কিন্তু রয়ে গেল একই ছবি। ক্রোয়েশিয়ায় প্রথমে এগিয়ে গিয়েও রাক্সেলের টিম হেরে গিয়েছিল সান্তিয়াগো দেনিয়া স্যাঞ্চেজের কাছে। এখানেও আগে গোল করেছিল ফ্রান্স-ই। লেনি পিন্টোর বল নিয়ে সোজা ঢুকে গিয়েছিলেন বিপক্ষের বক্সে। স্পেনের দুই রক্ষণের মাঝখান থেকে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লেনি। কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ঠিক দশ মিনিট পর ১-১ করে দেন স্পেনের জুয়ান মিরান্ডা। বিরতির পর দু’দলই কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পেনাল্টি থেকে গোল করে শেষ আটে দলকে নিয়ে যান আবেল রুইজ।
তিকিতাকা বনাম ডাইরেক্ট ফুটবল। আবেল রুইজ বনাম আমিনি গুইরিদের লড়াইকে সেভাবেই দেখা হচ্ছিল। কিন্তু ম্যাচটা সেভাবে দাগ কাটতে পারল না। কারণ দু’দলের কোচই অঙ্ক কষা ফুটবল খেলে ম্যাচটা নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন টাইব্রেকারে। ফলে প্রথমার্ধটা ফ্রান্সের হলেও পরের অর্ধটা ছিল স্পেনের। তবে এক সঙ্গে পাঁচ-ছয়-সাতটা পাস এক সঙ্গে স্পেন খেলল হাতে গুনে। টিমটার বেশিরভাগ যুব ফুটবলারের আতুরঘর লা মাসিয়া বা রিয়াল মাদ্রিদ অ্যাকাডেমি। ফলে হুগো গুইলামে বা নিকো দিয়াজদের কাছ থেকে আর একটু দৃষ্টিনন্দন ফুটবল আশা করা গিয়েছিল। ফলে জিতলেও স্পেনের খেলা দেখে মন ভরেনি। গুয়াহাটির দর্শকরা মাঠে এসে বঞ্চিত হয়েছেন। বিশ্ব ফুটবলের দুই সেরা দেশের নতুন প্রজন্মের ফুটবলারদের ম্যাচ। অথচ অসমের মাঠ অর্ধেকও ভর্তি হয়নি। আই লিগ বা আই এসএলের ম্যাচ হলেও যেখানে ভিড় উপচে পড়ে সেখানে এই হাল কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তাই উঠছেই। এখানেও কী মন্ত্রী, আমলাদের বাড়িতেই পড়ে রয়েছে টিকিট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy