আই লিগের খেতাবের লড়াই এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে গড়াপেটা আটকাতে প্রাক্তন সি বি আই কর্তা জাভেদ ফিরাজকে মাঠে নামাচ্ছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।
শুধু মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেনই নন, ফুটবলমহলে জোর আলোচনা হচ্ছে, পাহাড়ে যাতে প্রথমবার আই লিগের ট্রফি আসে সে জন্য আইজল এফ সি-কে শেষ ম্যাচে পয়েন্ট ছেড়ে দিতে পারে উত্তর-পূর্বাঞ্চলেরই অন্য দল শিলং লাজং। কারণ লিগ টেবলের পরিস্থিতি যা, তাতে মোহনবাগান রবিবার চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতলেও চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে খালিদ জামিলের দলকে হারতে হবে শিলংয়ের কাছে। ওই ম্যাচ ড্র হলেও চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে আইজল।
মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন সেটা আরও উস্কে দিয়েছেন এই বলে যে, ‘‘আইজল তো অ্যাওয়ে ম্যাচে জিততে পারছে না। জানি না শিলংয়ের সঙ্গে ওরা কী করবে। অনেকেই তো আমাকে ফোন করে বলছে, শিলং পয়েন্ট ছেড়ে দেবে। ওসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই, আমাদের একটাই লক্ষ্য, চেন্নাই ম্যাচ জেতা। তারপর যা হয় হোক।’’
এ সব শোনার পরেই বিতর্ক এড়াতে ফেডারেশন তাদের ‘ইন্টিগ্রিটি অফিসার’ জাভেদকে পাঠাচ্ছে শিলংয়ে। এবং সেটা ম্যাচের একদিন আগে। আই লিগের ইতিহাসে খেতাবি লড়াইয়ে গড়াপেটার উপর নজর রাখতে কখনও এভাবে কোনও স্পেশ্যাল অফিসারকে দায়িত্ব দেয়নি ফেডারেশন। এএফসি-র যে দুনীর্তি দমন শাখা আছে তার নাম ‘স্পোর্টস রাডার’। ম্যাচ গড়াপেটা থেকে ফুটবলার বা ক্লাবের টাকার আদানপ্রদান— যে কোনও বেআইনি কাজকর্ম তাঁরা দেখেন। তাঁদের সঙ্গে চুক্তি আছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের। সে জন্যই একজন সিবিআই প্রাক্তন কর্তাকে ‘ইন্ট্রিগ্রিটি অফিসার’ হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। আই লিগ বা আই এস এল শুরুর আগে সব ক্লাবকেই তিনি সতর্ক করেছেন, কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না।
জাভেদ ফিয়াজ পুরো ব্যাপারটি গোপন রাখছেন। তবে সূত্রের খবর, দুই ক্লাবের কর্তা, ফুটবলার, এমনকী সদস্য-সমর্থকদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তিনি। আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর শিলং থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে বললেন, ‘‘উনি সব কিছুর উপর যাতে নজর রাখতে পারেন সে জন্য একদিন আগে যাচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy