বিতর্কিত: লিভারপুলের লিগ জয়ের পরে এই জমায়েত নিয়ে চলছে চর্চা।
ইপিএল চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল ক্লাবই এ বার উৎসব করতে রাস্তায় নেমে পড়া তাদের সমর্থকদের বাড়াবাড়ির প্রবল সমালোচনা করল। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি শুক্রবার চেলসির কাছে হেরে যেতেই তিন দশক পরে ট্রফি নিশ্চিত হয়ে যায় অ্যানফিল্ডের ক্লাবের। তার পরেই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের কোনও নিয়মের পরোয়া না করে হাজার হাজার মানুষ পায়ার হেড, লিভার বিল্ডিং লাগোয়া জায়গায় পথে নেমে আসেন। নিষিদ্ধ হলেও লিভারপুল শহরের বিভিন্ন জায়গায় জনসমাবেশে যথেচ্ছ বাজি ফাটতে থাকে। সঙ্গে আলিঙ্গন, গান গাওয়া, নাচা ইত্যাদি তো ছিলই। পথে নেমে পড়া মানুষদের কাউকেই সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করতে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, উৎসবের জায়গাগুলোয় ক্লাব সমর্থকেরা বিশ্রী ভাবে আবর্জনাও ফেলে যায়।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন লিভারপুলের মেয়র এবং স্থানীয় পুলিশ কর্তারা। লিভারপুল ক্লাব, সিটি কাউন্সিল এবং পুলিশ বিভাগ যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘আমাদের শহরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এখনও ঠিক হয়নি। তাই কিছু সমর্থকের এই ধরনের আচরণ মানা যাচ্ছে না। মনে রাখতে হবে, যে কোনও সময় দ্বিতীয় বার এখানে করোনা সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। এই সময় আমাদের সবাইকে একসঙ্গে সংক্রমণ আটকোনোর চেষ্টা করতে হবে।’’ বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছে যে, যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে তখন বিজয়মিছিলও করা যেতে পারে। লিভারপুল অবশ্য মনে করে, তাদের নব্বই ভাগ সমর্থকই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেও সংযত আচরণই করেছে। সমস্যা সৃষ্টি করেছে বাকি দশ শতাংশ দর্শক। মেরিসাইড পুলিশ ১৫ জনকে গ্রেফতারও করেছে। বৃহস্পতি, শুক্র দু’দিনই উৎসব ঘিরে শহরে জনসমাবেশ হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভিড় সরিয়ে দিতে আসা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতলও ছোড়া হয়। উন্মত্ত সমর্থকদের আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি দমকল কর্মীরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy