ব্যালন ডি’অরের মঞ্চের পর খোদ নিজের শহরেও যে এ ভাবে লিওনেল মেসির নাম তাঁকে তাড়া করে বেড়াবে, সেটা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
তাও জুরিখে বার্সেলোনা মহাতারকার পাঁচ নম্বর ব্যালন জেতার ক’য়েক ঘণ্টার মধ্যেই। রোনাল্ডোর শহর মেদেইরায় তাঁর মূর্তির পিঠে মেসির নাম আর তাঁর বিখ্যাত দশ নম্বর লিখে দেয় কেউ বা কারা। যেন সিআর সেভেনের নয়, মূর্তিটা লিওনেল মেসির হওয়া উচিত। সিআর সেভেন আর এলএম টেনের বিশ্বখ্যাত রেষারেষির সহজ সমাধান!
যা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে রোনাল্ডোর ভক্তকুল আর তার পরিবারের তীব্র প্রতিবাদ আছড়ে পড়েছে। পর্তুগিজ মহাতারকার বোন কাতিয়া আভেইরো বলেন, ‘‘লজ্জাজনক ঘটনা। হিংসে করে করা হল এটা। আক্রোশটা হতাশার ফল। কিন্তু জনসমক্ষে যে ভাবে তা দেখানো হল সেটা চূড়ান্ত অসম্মানের। পর্তুগিজ হিসেবে আমি লজ্জিত ও দুঃখিত।’’
এখানেই থামেননি রোনাল্ডোর বোন। পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেছেন এমন ঘটনা যাঁরা করল, তাঁদের সিরিয়ায় থাকা উচিত। মেদেইরায় নয়। ‘‘আমার সুন্দর দ্বীপটায় দুর্ভাগ্যবশত এমন কিছু হতাশাগ্রস্ত আছে যাঁদের সিরিয়ায় মানায়। এরা কাউকে সম্মান দেখাতে জানে না, সমাজের কাছে এদের কোনও মূল্য নেই। এরা এই শহরে থাকার যোগ্য নয়।’’
সিআর সেভেনের চরম প্রতিদ্বন্দ্বী ঠিক এই সময়ই একেবারে অন্যজগতে।
বিশ্ব ফুটবলের আকাশ এখন মেসিময়। এক দিকে বুধবার ব্যালন ডি’অর ট্রফিতে নিজের প্রতিবিম্বের ছবি পোস্ট করার পর মেসির সেই সেলফি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় বইছে। বলা হচ্ছে, এর চেয়ে দুরন্ত সেলফি আর হয় না! তো কোথাও তর্কের তুফান উঠছে, আঠাশেই পাঁচটা! তা হলে কেরিয়ার শেষে সংখ্যাটা কোথায় দাঁড়াবে এলএম টেনের।
এর মধ্যে আবার মেসির বার্সেলোনা ছাড়া নিয়েও প্রচুর জল্পনা ছড়াল এ দিন। তিনি আদৌ বার্সায় কেরিয়ার শেষ করবেন কি না তা নিয়েও কথা কম হচ্ছে না।
১৩ বছর বয়েসে রোজারিও থেকে বার্সেলোনায় চলে আসা কিশোরের স্বপ্ন ছিল বড় ফুটবলার হওয়ার। সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কিন্তু একটা স্বপ্ন নাকি লিও মেসির এখনও বাকি। সেটা আর্জেন্তিনায় কেরিয়ার শেষ করার। ফিফার ওয়েবসাইটে মেসি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল আর্জেন্তিনায় খেলার। কিন্তু এমন একটা অবস্থায় পড়তে হয়েছিল যে আর্জেন্তিনা ছেড়ে চলে আসতে হল। তাই আর সেটা হয়নি। বার্সেলোনায় কেরিয়ার গড়লাম। কিন্তু আমি আর্জেন্তিনীয় ফুটবলে ফিরতে চাই। কী হবে ঈশ্বর জানেন।’’
দেশের প্রতি আবেগ এলএম টেনের কতটা সেটা গত মাসে আর এক বার দেখেছে বিশ্ব। গত মাসে বিশ্ব ক্লাব কাপের ফাইনালে আর্জেন্তিনীয় ক্লাব রিভার প্লেটের বিরুদ্ধে গোল করার পর মেসিকে উৎসব তো দূরের কথা প্রায় ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে দেখা যায়। পরে মেসি স্বীকারও করেন আর্জেন্তিনার ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করাটা ভাল লাগেনি। ‘‘জানতাম কত কষ্ট করে আর্জেন্তিনীয় সমর্থকরা ম্যাচটা দেখতে এসেছে। কত উৎসাহ নিয়ে। কিন্তু আমার মতো এক আর্জেন্তিনীয়ের কাছে প্রথম গোল খেয়ে সব শেষ হয়ে গেল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy