আগ্রাসী মেজাজে রাজা। ছবি: এএফপি
এ বার জিম্বাবোয়েও হারিয়ে দিল বাংলাদেশকে। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৭ রানে হেরে গেল নুরুল হাসানের দল। প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবোয়ে করে ৩ উইকেটে ২০৫ রান। জবাবে বাংলাদেশ তুলল ৬ উইকেটে ১৮৮ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজে চুনকাম করলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধেও ২০ ওভারের প্রথম ম্যাচে জয় এল না। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন। ৪৩ রানে ২ উইকেট হারালেও পরিস্থিতি সামলে নেন আয়োজকদের মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। তিন নম্বরে নামা ওয়েসলি মাধেবেরা আহত হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে করলেন ৪৬ বলে ৬৭ রান। চার নম্বরে নেমে সিন উইলিয়ামস ৪টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে করলেন ১৯ বলে ৩৩ রান। পাঁচ নম্বরে নামা সিকান্দর রাজার ব্যাট থেকে এল ৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। জিম্বাবোয়ের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সব থেকে বেশি আগ্রাসী। তাঁর ২৬ বলের ইনিংসে রয়েছে ৭টি চার এবং চারটি ছয়। শুরুতে আরভিন (১৮) এবং অন্য ওপেনার রেগিস চাকাবা (৮) অবশ্য রান পাননি।
বাংলাদেশের কোনও বোলারই আয়োজকদের সমস্যায় ফেলতে পারলেন না। মুস্তাফিজুর রহমান ৫০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। ২১ রানে ১ উইকেট মোসাদক হোসেন। বাংলাদেশের চার জন বোলারকে উইকেটহীন থাকতে হল।
জয়ের জন্য ২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাল সফরকারীরা। শুরুতেই সাজঘরে ফিরলেন মুনিম শাহরিয়র (৪)। অন্য ওপেনার লিটন দাস আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেও ব়ড় রান করতে পারলেন না। ৬টি চারের সাহায্যে ১৯ বলে ৩২ রান করলেন তিনি। আনামুল হক (২৭ বলে ২৬), নাজমুল হোসেন শান্তরা (২৫ বলে ৩৭) ভাল শুরু করেও দ্রুত সাজঘরে ফিরলেন। আফিফ হোসেন (১০) এবং মোসাদেক হোসেন (১৩) রান পেলেন না। শেষ দিকে চেষ্টা কিছুটা চেষ্টা করলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান। ১টি চার এবং ৪টি ছয়ের সাহায্যে নুরুল ২৬ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারলেন না। উইকেটের অন্য প্রান্তে কেউই তাঁকে নির্ভরতা দিতে পারলেন না। জিম্বাবোয়ের সফলতম বোলার লুক জঙ্গ ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। এ দিনের জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল জিম্বাবোয়ে।
এ দিন ম্যাচের আগেই দলের পারফরম্যান্স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন নুরুল। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দলে বিধ্বংসী ক্রিকেটার কম। সেই কারণে দ্রুত রান তুলতে সমস্যা হচ্ছে। বুদ্ধি খাটিয়ে খেলতে হবে আমাদের।’’ ব্যাটারদের খানিকটা সতর্ক করে বলেন, ‘‘আমরা যদি বেশি ছক্কা মারতে না পারি তা হলে বেশি চার মারার চেষ্টা করতে হবে। দৌড়ে বেশি রান করতে হবে। তা হলেই বড় রান করা যাবে।’’ বাংলাদেশ অধিনায়কের এই টোটকাও জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কাজে এল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy