শুধু বিরিয়ানি নয়, ফুচকা খেতেও খুব পছন্দ করতেন যস্তিকা। ছোটবেলা থেকে ফুচকার ভক্ত যস্তিকাকে সেই খাবারও ছাড়তে হয়। এখন বছরে এক-দু’বার বাড়িতেই ফুচকা বানিয়ে খান। তবে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার স্বাদ ভুলতে পারেননি তিনি। গত বছর ডিসেম্বরে বরোদার বিরুদ্ধে শতরান করে পেট ভরে ফুচকা খেয়েছিলেন তিনি। সেই শেষ বার। তার পর থেকে আর ছুঁয়েও দেখেননি।
ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠছেন যস্তিকা ফাইল চিত্র।
দু’ওভারের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল ৩ উইকেট। সেই সময় তিনি আউট হয়ে গেলে সমস্যা আরও বাড়ত দলের জন্য। তাই তখন ঝুঁকি নেননি। ধৈর্য ধরে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করেছেন যস্তিকা ভাটিয়া। পর পর দু’ম্যাচে অর্ধশতরান করলেন তিনি। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতেছেন। কিন্তু এই অবস্থায় আসার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে যস্তিকাকে। বাদ দিতে হয়েছে নিজের প্রিয় খাবার। কড়া ডায়েটের মধ্যে থেকে শরীর ফিট রাখতে হয়েছে। তার ফলেই জেমাইমা রদ্রিগেজকে সরিয়ে ভারতীয় দলের তিন নম্বর জায়গা ধীরে ধীরে নিজের নামে করে নিচ্ছেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার।
বর্তমানে যস্তিকার প্রিয় খাবার বাটার চিকেন। প্রতি দিন দিলেও খেয়ে নেবেন। যখনই রেস্তরাঁয় যান তখনই বাটার চিকেন ও রুটি খান। আগে চিকেন বিরিয়ানি খেতে খুব পছন্দ করতেন। কিন্তু চিকিৎসক নির্দেশ দিয়েছেন, শরীর ফিট রাখতে ভাত ছাড়তে হবে। তাই আপাতত বিরিয়ানি খাওয়া বন্ধ। ভাত ছাড়তে হবে শুনে মন ভেঙে গিয়েছিল যষ্টিকার। তার পর অবশ্য মনকে বুঝিয়েছেন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলা। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রিয় খাবারকে বাদ দিতে এক বারও ভাবেননি তিনি।
শুধু বিরিয়ানি নয়, ফুচকা খেতেও খুব পছন্দ করতেন যস্তিকা। ছোটবেলা থেকে ফুচকার ভক্ত যস্তিকাকে সেই খাবারও ছাড়তে হয়। এখন বছরে এক-দু’বার বাড়িতেই ফুচকা বানিয়ে খান। তবে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার স্বাদ ভুলতে পারেননি তিনি। গত বছর ডিসেম্বরে বরোদার বিরুদ্ধে শতরান করে পেট ভরে ফুচকা খেয়েছিলেন তিনি। সেই শেষ বার। তার পর থেকে আর ছুঁয়েও দেখেননি।
শারীরিক ক্ষমতা বাড়াতে দিনের নির্দিষ্ট সময় জিমে ঘাম ঝরান যস্তিকা। তার পরে বজরার রুটি খান তিনি। সঙ্গে থাকে প্রোটিন শেক ও ব্রাউন রাইস। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলেন ভারতীয় দলের এই ক্রিকেটার।
জাতীয় দলের সতীর্থদের মধ্যে স্মৃতি মন্ধানা ভাল রান্না করেন বলে শুনেছেন যস্তিকা। কিন্তু কোনও দিন খাননি তিনি। নিজে অবশ্য পিৎজা বানাতে পারেন। এমনকি পিৎজা প্রতিযোগিতাতেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তার সঙ্গে পাউরুটি-ওমলেট ও ঢেঁড়সের তরকারি বানাতে ভাল পারেন। যখনই সুযোগ পান, তখনই বানিয়ে ফেলেন নিজের এই সব পছন্দের খাবার।
যস্তিকার মা নিরামিশাসি। কিন্তু বাবা, দিদি ও তিনি নিজে মাংস খেতে খুব ভালবাসেন। তাই বাড়িতে দু’ধরনের রান্না হয়। চিকেন বিরিয়ানি পছন্দের হলেও মায়ের হাতের পালং খেতেও খুব ভালবাসেন যস্তিকা। অনেক চেষ্টা করলেও মায়ের মতো পালং তিনি বানাতে পারেন না। বাইরে খেলতে গেলে বাড়ির খাবারের জন্য মন খারাপ করে যস্তিকার। তাই বাড়ি ফিরেই প্রথমে মায়ের হাতের রান্না খান জাতীয় দলের এই ব্যাটার।
মাঝে লকডাউনের সময় অনুশীলন করতে খুব সমস্যা হয়েছিল যস্তিকার। মেয়ে যাতে একটু হলেও অনুশীলন করতে পারেন তার জন্য আবাসনের মধ্যেই বন্দোবস্ত করেছিলেন বাবা। সেই সময়ে গিটার বাজাতে ও ফরাসি ভাষা শিখেছেন যস্তিকা। ওটিটি-তে দেখেছেন প্রচুর সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ। তবে তার জন্য অনুশীলনে খামতি রাখেননি যস্তিকা। তার ফল পাচ্ছেন বিশ্বকাপে। তাঁর উপর ভরসা করতে শুরু করেছে ম্যানেজমেন্ট। ভরসা করছেন ভারতীয় সমর্থকরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy