ক্রিকেটে এর আগে স্পাইডার ক্যামেরা (মাঠের উপর থেকে ঝোলানো অবস্থায় থাকে এই ক্যামেরা) নিয়ে অনেক বার বিতর্ক হয়েছে। কখনও বল গিয়ে ক্যামেরায় লেগেছে। ফলে খেলার গতি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। অনেক সময় ফিল্ডিং করার সময় সমস্যা করেছে এই ক্যামেরা। এ বার রোবট ক্যামেরা নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। এখন দেখার এই বিষয়ে আইসিসি-র তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয় কি না।
এই ক্যামেরার ফলেই সমস্যায় পড়ছেন ক্রিকেটাররা ফাইল চিত্র।
সোমবার স্টিভ স্মিথ থেকে শুরু করে কয়েক মাস আগে স্টুয়ার্ট ব্রড, মাঠের মধ্যেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রোবট ক্যামেরার উপর। বাধ্য হয়ে সরিয়ে নিতে হয়েছিল ক্যামেরা। এর আগেও অনেক ক্রিকেটার রোবট ক্যামেরা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মাঠের মধ্যে তাঁদের বিরক্তি সত্যিই কি কোনও প্রযুক্তি বিভ্রাটের দিকে ইঙ্গিত করছে? না কি অকারণেই এতটা বিরক্ত হচ্ছেন ক্রিকেটাররা? কারণ ঠিক কী?
ক্রিকেট মাঠে যে যে প্রযুক্তিগত উন্নতি হয়েছে তার মধ্যে রোবট ক্যামেরা অন্যতম। সহজ ভাযায় বলতে গেলে এটি চাকা লাগানো একটি গাড়ি যার উপর ক্যামেরা লাগানো থাকে। সে ক্যামেরার মান সাধারণ ক্যামেরার থেকে অনেক বেশি। মাঠের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের ছবি তোলা যায়। জুম বেশি করলেও ছবির কোনও ক্ষতি হয় না। সেই সঙ্গে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে এই ক্যামেরা। ফলে একই জায়গা থেকে বিভিন্ন দিকের ছবি তোলা যায়। এই ক্যামেরা মাঠের বাইরে থেকে পরিচালনা করা হয়।
কিন্তু কেন ক্রিকেটে রোবট ক্যামেরার ব্যবহার শুরু হয়েছে? এই ক্যামেরার প্রধান কাজ ক্রিকেটারদের দিকে নজর রাখা। এক জন ব্যাটার শট মারার ক্ষেত্রে কোন পায়ে খেলছেন, তাঁর মাথা কোন জায়গায় রয়েছে, শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকছে কি না, সে সব ধরা পড়ে এই ক্যামেরায়। ঠিক তেমন ভাবেই কোনও বোলার বল করার সময় তাঁর কব্জির অবস্থান কেমন, বলের অ্যাকশন, সব বোঝা যায়। বিভিন্ন দিক থেকে কোনও ক্যাচের বিশ্লেষণ করা যায়। ফলে কোনও ক্রিকেটারকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য এই ক্যামেরার দরকার হয়। এর মাধ্যমে স্লো-মোশন থেকে শুরু করে দ্রুত ভিডিয়ো দেখা যায়। বিপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করার জন্য এই ক্যামেরার সাহায্য চেয়ে থাকে বিভিন্ন দল।
কিন্তু সেই ক্যামেরা এখন ক্রিকেটারদের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত যখন দুই দল মাঠে ঢোকে তখন এই রোবট ক্যামেরা মাঠের ভিতরে ঢুকে ছবি তোলে। খেলা শুরু হয়ে যাওয়ার পরে বাউন্ডারির বাইরে ঘুরে ঘুরে ছবি তোলে সেই ক্যামেরা। প্রতি মুহূর্তে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরে যাওয়ার ফলে অনেক সময় ব্যাটার বা বোলারের মনসংযোগে সমস্যা হয়। ফলে বিরক্ত হন তাঁরা।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লাহৌরে তৃতীয় টেস্ট চলাকালীন দেখা যায় একটি শট খেলার পরেই মিড উইকেটে বাউন্ডারির বাইরে থাকা রোবট ক্যামেরার দিকে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছেন স্মিথ। আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ করেন তিনি। স্মিথের ঠিক কী সমস্যা হয়েছিল তা না জানা গেলেও তাঁর শরীরী ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছিল ক্যামেরার নড়াচড়ার ফলে মনোসংযোগে সমস্যা হচ্ছে তাঁর। পরে আম্পায়ারের নির্দেশে ক্যামেরা সরিয়ে নেওয়া হয়। যদিও স্মিথের ভঙ্গিতে অবাক হয়ে যান ধারাভাষ্যকাররা। তাঁরা জানান, অত দূরে থাকা ক্যামেরা কী ভাবে স্মিথের খেলতে সমস্যা করছে তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। জানুয়ারি মাসে অ্যাশেজ চলাকালীন হোবার্টে অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ককে বল করার সময় রোবট ক্যামেরার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখান ইংল্যান্ডের পেসার ব্রড। বল করতে গিয়ে শেষ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। এই ধরনের ঘটনা এর আগেও একাধিক বার ঘটেছে।
The buggy sends its apologies @stevesmith49 #BoysReadyHain l #PAKvAUS pic.twitter.com/CdfAsnY8aQ
— Pakistan Cricket (@TheRealPCB) March 21, 2022
ক্রিকেটে এর আগে স্পাইডার ক্যামেরা (মাঠের উপর থেকে ঝোলানো অবস্থায় থাকে এই ক্যামেরা) নিয়ে অনেক বার বিতর্ক হয়েছে। কখনও বল গিয়ে ক্যামেরায় লেগেছে। ফলে খেলার গতি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। অনেক সময় ফিল্ডিং করার সময় সমস্যা করেছে এই ক্যামেরা। এ বার রোবট ক্যামেরা নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। এখন দেখার এই বিষয়ে আইসিসি-র তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয় কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy