মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগে কম বয়সের ক্রিকেটারদের আগলে রাখতে চান সানিয়া। ছবি: টুইটার।
সদ্য টেনিসকে বিদায় জানিয়েছেন সানিয়া মির্জা। খেলোয়াড় জীবনে ইতি টানলেও খেলার মাঠ থেকে দূরে থাকছেন না তিনি। মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন সানিয়া। স্মৃতি মন্ধানাদের মেন্টর হিসাবে দেখা যাবে তাঁকে।
গত মঙ্গলবার দুবাই ডিউটি ফ্রি চ্যাম্পিয়নশিপে মহিলাদের ডাবলসের প্রথম রাউন্ডে হেরে বিদায় নিয়েছেন সানিয়া। একই সঙ্গে বিদায় জানিয়েছেন টেনিসকেও। ৩৬ বছরের সানিয়া বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটের সঙ্গে আমার সরাসরি সম্পর্ক নেই। কিন্তু এদের নিয়ে কাজ করতে ভাল লাগবে। কম বয়সের মেয়েদের কাছে প্রচুর টাকা থাকে না। অনেকেরই অবস্থা ভাল হয় না। অথচ লক্ষ লক্ষ মানুষের আশা রয়েছে ওদের ঘিরে। ওদের অনেককেই টেলিভিশনে কখনও দেখা যায়নি। ওদের অনেকে কখনও বিজ্ঞাপনের কাজ করেনি। ফলে প্রিমিয়ার লিগের পরিবেশ ওদের লক্ষ্যচ্যুত করতে পারে।’’ মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগের আলোয় যাতে ছোট ছোট মেয়েদের প্রতিভা হারিয়ে না যায়, সেটা নিশ্চিত করাকেই সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ছ’টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক।
সানিয়া বলেছেন, ‘‘আগে ওদের অনেককে হয়তো প্রত্যাশার চাপ সামলাতে হয়নি। এ বার প্রত্যাশার চাপ থাকবে। আমি ওদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেব। তাতে হয়তো ওরা কিছুটা স্বচ্ছন্দ বোধ করবে। বড় পরিবর্তনের সময় সাহায্য করবে। এমন একটা দলের হয়ে খেলার সুযোগ অনেকের কাছে বিরাট ব্যাপার।’’
বেঙ্গালুরুর মেন্টরের দায়িত্ব দেওয়ায় খুশি সানিয়া। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার কাছেও এটা দারুণ একটা সুযোগ। যেমন কাজ করতে চাই, এটা অনেকটা তেমনই। মেয়েদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেব। চেষ্টা করব আমাদের উপমহাদেশে মহিলাদের খেলা যাতে ভবিষ্যতে আরও উন্নতি করে। আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।’’
উঠে এসেছে তাঁর খেলোয়াড় জীবনের প্রসঙ্গও। সানিয়া বলেছেন, ‘‘কোর্টে পা রাখার সময় কখনও ভাবিনি আমি মুসলিম। ভাবিনি মুসলিম পরিবারের মেয়ে হিসাবে টেনিসে কিছু করার চেষ্টা করছি। খ্রিস্টান বা হিন্দু পরিবারের কোনও মেয়েকে হয়তো এ রকম ভাবতে হয় না। নিজেও কখনও সে ভাবে ভাবিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy