অন্য ভূমিকায়: প্যাট কামিন্স (বাঁ দিকে), বিরাট কোহলি (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপ জিতেছেন। তাঁর নেতৃত্বে হায়দরাবাদের আইপিএল দল চোখধাঁধানো খেলা উপহার দিয়ে চমকে দিয়েছে সকলকে। সেই বিশ্বজয়ী অধিনায়কই এ বার অন্য ভূমিকায়। আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সতীর্থদের জন্য জল, তোয়ালে নিয়ে মাঠে ঢুকতে দেখা গেল প্যাট কামিন্সকে। যা দেখে কামিন্সের ‘স্পোর্টসম্যান স্পিরিট’-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্রিকেট বিশ্ব।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে বিরাট কোহলিকে দেখা গিয়েছিল খেলোয়াড়দের জন্য জল, তোয়ালে নিয়ে ছুটতে। সেই সময় বিরাটের খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতার প্রশংসা হয়েছিল সর্বত্র। এ বার কার্যত সেই ভূমিকায় দেখা গেল অস্ট্রেলিয়ার এক দিনের দলের অধিনায়ক কামিন্সকেও। ঘটনা হল, আইপিএলে মন মাতিয়ে দেওয়ার পর কামিন্স এখন বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছেন আমেরিকা। বার্বাডোজে অস্ট্রেলিয়ার খেলা ছিল ওমানের বিরুদ্ধে। ক্রিকেটে অজ্ঞাতকুলশীল ওমানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ছিলেন না কামিন্স। তাঁর জায়গায় খেলছিলেন নাথন এলিস। খেলা চলাকালীন দেখা যায়, কামিন্স জলের বোতল এবং তোয়ালে হাতে নিয়ে ছুটে ঢুকে পড়লেন মাঠে। তার পর দৌড়ে চলে গেলেন সতীর্থদের কাছে। কামিন্সের এই অবতার দেখে প্রথমে অবাক হয়ে যান ধারাভাষ্যকারেরাও। যদিও সতীর্থদের তেষ্টা মেটাতে পেরে খুশি কামিন্স।
সাম্প্রতিক কালে ক্রিকেটে বদল এসেছে অনেক। সেই বদলের হাত ধরেই মাঠে এই দৃশ্য বলে অনেকে মনে করেন। মাঠে যে খেলোয়াড়েরা খেলছেন, তাঁদের পরামর্শ দেওয়াই কামিন্সের মাঠে ঢোকার উদ্দেশ্য। তাঁদের যুক্তি, জল নিয়ে মাঠে ঢোকার দায়িত্ব সাধারণত থাকে দলের কমবয়সীদের হাতে। কামিন্স সেই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে মাঠে ঢুকছেন মানে শুধু জল খাওয়ানো বা ঘাম মোছার তোয়ালে এগিয়ে দেওয়া নয়, বরং খেলার পরিস্থিতি বিচার করে খেলোয়াড়দের বিশেষ কিছু টিপ্স বা পরামর্শ দেওয়া। বার্বাডো়জেও একই জিনিস হয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা।
বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে এ ভাবে জল বইতে দেখে অবাক ক্রিকেটবিশ্ব। এর আগে এমন উদাহরণ রয়েছে ঠিকই, কিন্তু কামিন্সের মাপের খেলোয়াড়দের সাধারণত এ ভাবে দেখতে অভ্যস্ত নন কেউই। কিন্তু রাজার খেলা ক্রিকেটে এমন ঘটনা ঘটে। কামিন্স তাই তার ব্যতিক্রম নন।
বিশ্বকাপের ম্যাচে যদিও অস্ট্রেলিয়া দলে কামিন্সের না থাকা অনুভূত হয়নি। প্রথমে ব্যাট করে ডেভিড ওয়ার্নার এবং মার্কাস স্টয়নিসের কাঁধে চেপে অসিরা করে ১৬৪ রান। বল করতে নেমেও স্টয়নিস তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের ভাগ্য স্থির করে দেন। ওমান বিশেষ কিছুই করে উঠতে পারেনি। আপাতত অস্ট্রেলিয়ার নজর আগামী ৮ জুন ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy