এক দিনের বিশ্বকাপের ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
ভারতের ক্রিকেট মাঠগুলির মধ্যে মোহালিকে অন্যতম সেরা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সেই মোহালিতেই হবে না ২০২৩ এক দিনের বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচ। অনেকে এর পিছনে রাজনৈতিক কারণ দেখছেন। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।
বিশ্বকাপের তালিকা থেকে মোহালি বাদ পড়ায় ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ বিস্মিত। কেন খেলা হবে না মোহালিতে? জানতে চান অনেকেই। ভারতীয় বোর্ডের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ আম আদমি পার্টির পঞ্জাব সরকার। পঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রী গুরমিত সিংহ বলেছেন, ‘‘মনে হচ্ছে রাজনৈতিক কারণেই মোহালিকে বিশ্বকাপের একটি ম্যাচও দেওয়া হয়নি। আমরা বিষয়টি নিয়ে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কথা বলব।’’
বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লর বক্তব্য, বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) নির্ধারিত মানের নয় মোহালির আইএস বিন্দ্রা স্টেডিয়াম। শুক্ল বলেছেন, ‘‘গত বছর বিরাট কোহলির ১০০তম টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব মোহালি পেয়েছিল। মোহালির কাছে মুল্লানপুরে নতুন ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরির কাজ হচ্ছে। সেই স্টেডিয়াম কি সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে গিয়েছে? তা হলে নতুন স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ম্যাচ দেওয়া যেতে পারে। মোহালিতে যে স্টেডিয়ামটি রয়েছে, তা বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের জন্য উপযুক্ত নয়। আইসিসির নির্দেশিকা অনুযায়ী যথাযথ মানের নয় পুরনো স্টেডিয়ামটি। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়ের ম্যাচ হতে পারে সেখানে।’’ বিসিসিআই সহ-সভাপতি আরও বলেছেন, ‘‘বোর্ড নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে বিভিন্ন স্টেডিয়ামে খেলা দেয়। এই পদ্ধতির মধ্যে পছন্দ-অপছন্দের কোনও বিষয় নেই। আইসিসির অনুমোদন নিয়েই বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলি চূড়ান্ত করা হয়েছে।’’
প্রথম বার ভারত একক ভাবে এক দিনের বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। বিশ্বকাপের ম্যাচগুলির জন্য ১০টি স্টেডিয়ামকে বেছে নিয়েছে বিসিসিআই। ২০১১ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের একটি সেমিফাইনাল হয়েছিল মোহালিতে। অনেকের প্রশ্ন, সেই স্টেডিয়ামের মান এতটাই কমে গেল যে, এ বার লিগ পর্বের একটি ম্যাচও দেওয়া গেল না!
শুধু পঞ্জাব নয়, বিশ্বকাপের ম্যাচ বণ্টন নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে কেরল থেকেও। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের প্রশ্ন, ‘‘কেন তিরুঅনন্তপুরমে বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচ দেওয়া হয়নি? দেশের ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলির তিরুঅনন্তপুরম অন্যতম সেরা।’’ তাঁর প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন শুক্ল। তিনি বলেছেন, ‘‘তিরুঅনন্তপুরমে প্রথম বার বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ দেওয়া হয়েছে। দেশের কোনও স্টেডিয়াম বা অঞ্চলকে বঞ্চিত করা হয়নি। বেশ কিছু বিষয় খতিয়ে দেখার পর ম্যাচের স্টেডিয়ামগুলি চূড়ান্ত করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের গুয়াহাটিতেও প্রস্তুতি ম্যাচ দেওয়া হয়েছে। সূচির মধ্যে যথা সম্ভব বেশি স্টেডিয়ামকে রাখা হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, শুক্ল নিজেও কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy