Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
India Vs West Indies

ব্যর্থ রোহিত, বিরাট-হীন ভারত, দ্বিতীয় ম্যাচে হার হার্দিকদের, সিরিজ়ে সমতা ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের

দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচ জিতে সিরিজ়ে সমতা ফেরাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে ছাড়া ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটিং। বোলারেরা অনেক চেষ্টা করলেও দলকে জেতাতে পারলেন না।

Hardik Pandya

হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৩ ০২:৩২
Share: Save:

প্রথম এক দিনের ম্যাচের পরে মনে হয়েছিল, হাসতে হাসতে সিরিজ় জিতবে ভারত। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল তারা। প্রথমে বল হাতে দাপট দেখালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বোলারেরা। একমাত্র রান পেলেন ঈশান কিশন। অর্ধশতরান করলেন তিনি। ১৮২ রান তাড়া করতে নেমে শার্দূল ঠাকুরের বলে মাঝে খেই হারালেও শেষ পর্যন্ত জিতে মাঠ ছাড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। ৬ উইকেটে ভারতকে হারিয়ে সিরিজ়ে সমতা ফেরাল তারা। অর্ধশতরান করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অধিনায়ক শাই হোপ। এক দিনের বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। সেই দলের কাছেই হারতে হল ভারতকে।

এক দিনের বিশ্বকাপের আগে দলের রিজার্ভ বেঞ্চকে দেখে নেওয়ার জন্য দ্বিতীয় ম্যাচে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে বিশ্রাম দিয়েছিল ভারত। বদলে সুযোগ পেয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন ও অক্ষর পটেল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ঈশান কিশন ও শুভমন গিল খুব ভাল শুরু করেন। সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন তাঁরা। বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল ঈশানকে। দ্রুত রান করছিলেন তাঁরা। ওপেনিং জুটিতে ৯০ রান ওঠে। অর্ধশতরান করেন ঈশান। তার পরেই বিপর্যয়।

৩৪ রানের মাথায় স্পিনার গুডাকেশ মোতির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে আউট হন শুভমন। ৫ রান পরেই আউট হন ঈশান। ৫৫ রান করেন তিনি। রোমারিয়ো শেফার্ডের বলে পয়েন্টে শূন্যে শরীর ছুড়ে ক্যাচ ধরেন আলিক আথানেজ। তার পরে একের পর এক উইকেট পড়তে শুরু করে। ব্যর্থ দলের মিডল অর্ডার। সঞ্জু, অক্ষরকে আগে নামালেও রান পাননি তাঁরা। অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যও ৭ রান করে আউট হন। ১১৩ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায় ভারতের।

দলের ইনিংসকে সামলানোর চেষ্টা করেন সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাডেজা ও শার্দূল। কিন্তু নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ছিল। বার্বাডোজ়ের পিচের অসমান বাউন্সে সমস্যায় পড়ছিলেন ভারতীয় ব্যাটারেরা। একই জায়গা থেকে বল কখনও হাঁটুর নীচে নামছিল। কখনও বুকের উচ্চতায় উঠছিল। সুযোগ কাজে লাগান ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বোলারেরা। ভাল বল করেন মোতি ও শেফার্ড। শেষ পর্যন্ত ৪০.৫ ওভারে ১৮১ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারত। মোতি ও শেফার্ড ৩টি করে, আলজারি জোসেফ ২টি এবং জেইডেন সিলস ও ইয়ানিক কারিয়া ১টি করে উইকেট নেন।

১৮১ রান করে জিততে হলে শুরুটা ভাল করার দরকার ছিল ভারতের। কিন্তু আদতে তার উল্টো হল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের দুই ওপেনার কাইল মেয়ার্স ও ব্রেন্ডন কিং শুরুটা ভাল করেন। বিশেষ করে মেয়ার্স। ভারতীয় পেসারদের সামনে নিজের পরিচিত মেজাজে খেলছিলেন তিনি। ওপেনিং জুটিতে ৫০ রান হয়। প্রধান পেসারেরা উইকেট না পাওয়ায় শার্দূলের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক হার্দিক। তার পরেই ছবিটা বদলায়।

নিজের প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট নেন শার্দূল। দুই ওপেনারকে ফেরান তিনি। প্রথমে ৩৬ রানের মাথায় মেয়ার্স ও তার পরে ১৫ রানের মাথায় কিং আউট হন। গুড লেংথে বল করছিলেন শার্দূল। ফলে বলের বাউন্স অসমান হচ্ছিল। তাতেই বেকায়দায় পড়েন ব্যাটারেরা। নিজের তৃতীয় ওভারে আলিক আথানেজকেও ফেরান শার্দূল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে চাপে পড়তে দেখে স্পিনারদের লেলিয়ে দেন হার্দিক। তাতে আরও সমস্যায় পড়ে ক্যারিবীয় দল। কুলদীপের বল বুঝতে না পেরে ৯ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে ফেরেন শিমরন হেটমেয়ার। দেখে মনে হচ্ছিল, এই রান তাড়া করতে গিয়েই সমস্যায় পড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। কিন্তু সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক হোপ।

এক দিকে সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন তিনি। অযথা তাড়াহুড়ো না করে সময় নিয়ে খেলছিলেন। তিনি জানতেন, লক্ষ্য খুব বেশি নয়। ফলে জুটি গড়ার দিকে নজর দেন। হোপকে সঙ্গ দেন কেসি কার্টি। তরুণ ক্রিকেটার হলেও বেশ দায়িত্ব নিয়ে খেললেন তিনি। অধিনায়কের সঙ্গে দলের ইনিংসকে ধরলেন। দু’জনে ৫০ রানের জুটি গড়েন। ধীরে ধীরে লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছিলেন তাঁরা।

নিজের আস্তিন থেকে সব তাস বের করেন হার্দিক। সাত জন বোলারকেই কাজে লাগান। মাঝে মাঝে তাঁরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের দুই ব্যাটারকে সমস্যাও ফেললেও উইকেট ফেলতে পারেননি। নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন হোপ। শেষ পর্যন্ত ৩৬.৪ ওভারে ৬ উইকেট বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। হোপ ৬৩ ও কার্টি ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

অন্য বিষয়গুলি:

India Vs West Indies India Cricket Hardik Pandya
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE