অ্যালেক্সান্ডার দোপোলভ। —ফাইল চিত্র।
এক সময় নোভাক জোকোভিচের বিরুদ্ধে টেনিস র্যাকেট ধরেছিলেন। হারিয়ে দিয়েছিলেন রাফায়েল নাদালকে। বিশ্ব ক্রমতালিকায় এক সময়ে ১৩ নম্বর ছিলেন অ্যালেক্সান্ডার দোপোলভ। এখন তাঁর হাতে টেনিস র্যাকেট থাকে না। বন্দুক তুলে নিয়েছেন তিনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নেমে পড়েছেন দোপোলভ।
ইউক্রেনের টেনিস তারকা ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট ছিলেন। ২০১৮ সালে দোপোলভ শেষ বার টেনিস খেলেছিলেন। ২০২১ সালে অবসর নিয়ে নেন। ২০২২ সালের মার্চে সেনায় যোগ দেন দোপোলভ। শিখে নেন অস্ত্রচালনা। দোপোলভ বলেন, “গত বছর লড়াইয়ের ময়দানে খুব কঠিন একটা সময় গিয়েছে। খুব কাছ থেকে গুলির লড়াই দেখেছি। বুঝতে পারছিলাম ওরা বুঝে গিয়েছে আমি কোথায়। গুলি চালাতে চালাতে এগিয়ে আসছে। বন্দুক থেকে গুলি বার হওয়ার পর একটা শিসের মতো আওয়াজ হয়। তার পরেই গুলিটা কোথাও গিয়ে লাগে। সেটার আওয়াজ পাওয়া যায়। শুধু আশা করা হয় গুলি যেন থাকার জায়গায় না লাগে। গুলি যদি এক-দেড় মিটার উপর দিয়ে যায়, তাহলে কোনও অসুবিধা নেই। কারণ আমরা মাটির নীচে রয়েছি। কিন্তু যদি লেগে যায় তাহলে কী হবে বলা কঠিন।”
দোপোলভ এখন জাপোরজিয়াতে রয়েছেন। এর পর কিভে যাবেন। দোপোলভ বলেন, “বিমান থেকে গুলি করা হয়। গুলির মালা ছড়িয়ে পরে। সেটাই খুব ভয়ের। সব থেকে খারাপ দিন ছিল, যে দিন মর্টার হামলা হয়েছিল। অহেতুক গুলি করা হত। মাঝে মাঝে দু’তিনটে গুলি করা হত। সেদিন একসঙ্গে ২০টি গুলি করা হয়। কোনও মতে বেঁচে গিয়েছিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy