ভারতীয় দল। — ফাইল চিত্র।
আগের ম্যাচে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে কঠিন ম্যাচে জিতে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস পেয়েছে ভারত। পাঁচ ম্যাচে পাঁচটিতে জিতে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তারা। রবিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লখনউয়ে জিতলে আবার শীর্ষে চলে যেতে পারে তারা। শুধু তাই নয়, সেমিফাইনালের দিকে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়া যাবে।
লখনউয়ে সাধারণত স্পিনারেরাই বেশি সাহায্য পেয়ে থাকেন। সেই হিসাবে ভারতীয় দলে কি অতিরিক্ত স্পিনার থাকার কথা? তা হলে কে আসতে পারেন ভারতীয় দলে? কে-ই বা বাদ যাবেন? ম্যাচের আগে প্রথম একাদশ বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন।
রোহিত শর্মা: বিশ্বকাপে ভাল ছন্দেই রয়েছেন রোহিত। কোনও চাপ না নিয়েই ব্যাট করছেন। আগের ম্যাচে অল্পের জন্যে অর্ধশতরান পাননি। কিন্তু বিশ্বকাপে তিনি অন্য ফর্মে রয়েছেন।
শুভমন গিল: বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ খেলা হলেও শুভমনের ব্যাট থেকে একটি অর্ধশতরান বাদে আর কিছু পাওয়া যায়নি। লখনউয়ে এসে নেটে অনেক ক্ষণ ধরে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। ইংল্যান্ড ম্যাচে বড় রান পাওয়া যেতেই পারে তাঁর ব্যাট থেকে।
বিরাট কোহলি: শুধু রান পাওয়া নয়, বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানশিকারির তালিকাতেও লড়াইয়ে রয়েছেন কোহলি। নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচে অল্পের জন্যে শতরান পাননি। কিন্তু ইংল্যান্ডকে দেখলে তিনি আগে থেকেই জ্বলে ওঠেন। দেখার, রবিবার তাঁর ব্যাট থেকে কত রান পাওয়া যায়।
শ্রেয়স আয়ার: চার নম্বরে দল তাঁর উপরে আস্থা রাখছে ঠিকই। কিন্তু তার দাম পুরোপুরি দিতে পারেননি শ্রেয়স। একটি ম্যাচে দায়িত্ব নিয়ে খেললেও পরের ম্যাচেই ব্যর্থ। দল বিপদে পড়লে শ্রেয়সকে কিন্তু দায়িত্ব নিতেই হবে।
কেএল রাহুল: উইকেটকিপার হিসাবে দলে তো থাকছেনই। পাশাপাশি দায়িত্ব নিয়ে খেলায় তাঁর জুড়ি নেই। বাকিরা যখন ব্যর্থ হন, তখন রাহুল একার হাতে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখেন।
সূর্যকুমার যাদব: হার্দিক পাণ্ড্য না থাকায় তাঁর উপরে আরও এক বার ভরসা করা হতে পারে। এই ম্যাচেও বাইরে বসে থাকতে পারেন ঈশান কিশন। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলে প্রয়োজনমতো যাতে বল করে দিতে পারেন, তার জন্যে অনুশীলনে কয়েক ওভার হাত ঘুরিয়েছেন সূর্য।
রবীন্দ্র জাডেজা: আগের ম্যাচে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছেন জাডেজা। যখন প্রথম সারির ব্যাটারেরা ব্যর্থ হন, তখন পরের দিকে নেমে মাথা ঠান্ডা রেখে রান তাড়া করা বা বড় রান তুলতে পারেন জাডেজা। পাশাপাশি বল হাতে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা তো রয়েছেই।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন: লখনউয়ের স্পিনিং পিচের কথা মাথায় রেখেই আবার দলে ফেরানো হতে পারে তাঁকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ ছাড়া সুযোগ পাননি তিনি। কিন্তু ইংল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটারদের কথা মাথায় রেখে অশ্বিনের থেকে ভাল বিকল্প নেই ভারতের হাতে।
মহম্মদ শামি: বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়েই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। তাঁকে বাদ দেওয়ার কথা খোদ অধিনায়কও ভাবতে পারবেন না। যেমন পিচই হোক, সেটি কাজে লাগে উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে শামির। নিষ্প্রাণ পিচ থেকেও উইকেট পেতে পারেন তিনি।
যশপ্রীত বুমরা: বিশ্বকাপের শুরু থেকেই নিজের বোলিংয়ে নজর কেড়ে নিচ্ছেন। ১১টি উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির লড়াইয়ে রয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতকে জিততে গেলে বুমরার বোলিংয়ের উপর নির্ভর করতে হবে। স্লোয়ার হোক বা গতি, সবেতেই তিনি পারদর্শী।
কুলদীপ যাদব: স্পিন সহায়ক উইকেটে কুলদীপের বোলিং রবিবার কার্যকরী হতে পারে। লখনউয়ের পিচে তাঁর বলের ঘূর্ণি বাজিমাত করতে পারে। বুদ্ধি করে রোহিতকে কাজে লাগাতে হবে কুলদীপের বোলিং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy