বাবর আজম। — ফাইল চিত্র।
শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিশ্বকাপে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে কার্যত ছুটি হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের। তার মধ্যেই দলের অন্দরের তিক্ত পরিবেশ আবার ধরা পড়ল। একাধিক ক্রিকেটারের মধ্যে ঝামেলা লেগেছে বলে শোনা যাচ্ছে। পাকিস্তান বোর্ড বিবৃতি দিয়ে যতই এ ধরনের খবর অস্বীকার করুক, দলের পরিবেশ যে মোটেই ভাল নেই এটা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।
শুক্রবার মহম্মদ নওয়াজ়কে বাউন্ডারি মেরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জিতিয়ে দেন কেশব মহারাজ। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামনে পেয়েও পাকিস্তান উইকেট ফেলতে পারেনি। বুক চিতিয়ে লড়ে যান প্রোটিয়া বোলারেরা। মহারাজ চার মারতেই রেগে যান বাবর। বোলারের উদ্দেশে কিছু বলতে থাকেন তিনি। নওয়াজ়ও পাল্টা কিছু কথা বলেন।
তবে বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দল নাকি দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। এক পক্ষ রয়েছেন বাবরের সঙ্গে। আর এক পক্ষ শাহিন আফ্রিদির সঙ্গে। নওয়াজ় নাকি শাহিনের দলে। তাই ইচ্ছাকৃত ভাবে খারাপ বল করে তিনি দলকে হারিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাবর। তাঁর অভিযোগ, বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনি যাতে পাকিস্তানের সবচেয়ে খারাপ অধিনায়ক হিসাবে পর্যবসিত হন তার সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, শাহিন নাকি পাকিস্তানের পরবর্তী অধিনায়ক হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাই তিনি দলে টানছেন অনেক সতীর্থকে। বাবর সেটা জেনেও কিছু করতে পারছেন না। দলের অন্দরে বাবর অভিযোগ তুলেছেন, নিজেকে অধিনায়ক হিসাবে তুলে ধরার জন্যে শাহিন সব রকম চেষ্টা করছেন। তাই জন্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে ম্যাচ হারানোরও চেষ্টা করছেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সবচেয়ে ভাল বোলার ছিলেন শাহিনই। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়েছেন।
যদিও প্রকাশ্যে এ সব কথা কাউকেই বলতে শোনা যায়নি। আপাতত সবার মুখে ঐক্যের সুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy