রোহিতের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ফাইল ছবি
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। সমর্থকদের স্বস্তি দিয়ে গোটা ম্যাচই হয়েছে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে। এক বারও বৃষ্টি এসে খেলায় বিঘ্ন ঘটাতে পারেনি। তবে রোহিত শর্মাদের পক্ষে চিন্তার খবর হল, পরের ম্যাচেও থাকছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার সিডনিতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত। সেখানে দুপুর এবং বিকেলে ৪০ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, সকালে আকাশে রোদ থাকবে। তবে দুপুর এবং বিকেলে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৪০ শতাংশ। এমনকি, ব্যাপক বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ১৫-২০ কিমি বেগে হাওয়া বইবার সম্ভাবনা রয়েছে। বিকেলের দিকে অবশ্য হাওয়ার তীব্রতা কমার কথা।
ভারতের খেলা যদি এক দিন পরে হত, তা হলে অনেকটাই নিশ্চিন্তে থাকা যেত। কারণ সিডনির পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার থেকে রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। শনিবার এবং রবিবার আকাশ সম্পূর্ণ পরিষ্কার থাকবে। সে ক্ষেত্রে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলে এবং পয়েন্ট খোয়াতে হলে সেটা ভারতের কাছে নিঃসন্দেহে বিরাট ধাক্কার হতে চলেছে। ডাচরা এমনিতেই গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল প্রতিপক্ষ। ফলে ভারতের নিশ্চিত দু’পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি হলে একটি পয়েন্ট খোয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে পরের দিকে ভারতের যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
পাকিস্তান ম্যাচে গোটা দিনই বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। তা যদিও হয়নি। মেলবোর্নে এক লাখ দর্শক দুরন্ত একটি ম্যাচ দেখতে পেয়েছেন। শেষ ওভার পর্যন্ত টান টান উত্তেজনা ছিল। মহম্মদ নওয়াজের শেষ ওভার ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়।
সিডনিতে গিয়ে এমনিতেই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে ভারত। বুধবার ঘণ্টা দুয়েক কঠোর অনুশীলনের পর সাজঘরে ফেরেন রোহিত, কোহলিরা। স্নান সেরে খেতে যান ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু খাবার ঘরে গিয়েই মেজাজ হারান কোহলি, রোহিতরা। কারণ আইসিসির তরফে যে মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তা পছন্দ হয়নি ভারতীয় দলের। দলের কয়েক জন ক্রিকেটার মাংসের টুকরো মুখে দিয়ে দেখেন, তা প্রচন্ড ঝাল। দলের জন্য যে পরিমাণ খাবার রাখা হয়েছিল, তা অপর্যাপ্ত ছিল বলেও অভিযোগ। তাতেই মেজাজ হারান রোহিত, কোহলিরা। এখানেই শেষ নয়।
খাদ্যতালিকায় ছিল কয়েক রকম ফল এবং স্যান্ডউইচের নানা রকম উপকরণ। খাবার টেবিলে রাখা বোর্ডে লেখা ছিল, ‘নিজের স্যান্ডউইচ নিজে তৈরি করে নিন।’ তা দেখে ক্লান্ত ক্রিকেটাররা বিরক্তি প্রকাশ করেন। আইসিসির ব্যবস্থা করা খাবার না খেয়েই হোটেলে ফিরে যান তাঁরা। ভারতীয় দলের এক সদস্য বলেছেন, “খাবারের মান প্রত্যাশিত ছিল না। তা ছাড়া কঠোর অনুশীলনের পর আমাদের স্যান্ডউইচ তৈরি করে নিতে বলা হয়!” এক জনকে বলতে শোনা যায়, ক্রিকেটের আয়ের সিংহভাগই ভারত থেকে আসে। তার পরেও ভারতীয় দলের সঙ্গে আইসিসির এই আচরণ সঙ্গত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy