৩০ বছর আগে সিডনির মাঠে অ্যালান ডোনাল্ডদের মুখের হাসি মিলিয়ে দিয়েছিল বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার টেম্বা বাভুমাদেরও একই পরিণতি হল। ছবি: আইসিসি এবং এএফপি
বৃষ্টি কিছুতেই পিছু ছাড়ে না দক্ষিণ আফ্রিকার। ৩০ বছর আগে সিডনির মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যালান ডোনাল্ডদের মুখের হাসি মিলিয়ে দিয়েছিল বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার টেম্বা বাভুমাদেরও একই পরিণতি হল। কারণ হয়ে রইল বরুণদেব।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতলে দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা পাকা হয়ে যেত। কিন্তু সে গুড়ে বালি ঢেলে দিল বৃষ্টি। পাকিস্তানের ১৮৫ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর যখন ৯ ওভারে ৬৯, তখনই বৃষ্টি নামে। ম্যাচ বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। সেই সময় ১১ ওভারে ১১৬ রান প্রয়োজন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ওভার প্রতি প্রয়োজন ছিল ১০.৫৪ রান। স্থানীয় সময় ৯.৩০টা পেরিয়ে যাওয়ায় ওভার যে কমবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্যমাত্রা আরও কঠিন হতে পারে বলেই আশঙ্কা ছিল। ম্যাচ আর শুরু না হলে প্রোটিয়ারা ১৬ রানে হারত। ম্যাচ শুরু হওয়ায় এবং দক্ষিণ আফ্রিকা বেশি উইকেট হারানোর কারণে তাদের লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে যায়। ম্যাচ কমে দাঁড়ায় ১৪ ওভারে। দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য হয় ১৪২ রান। অর্থাৎ পাঁচ ওভারে তুলতে হত ৭৩ রান। ওভার প্রতি তখন প্রয়োজন দাঁড়ায় ১৪.৬ রান।
৩০ বছর আগে (১৯৯২) সিডনির মাঠেই বৃষ্টির জন্য সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সে বার বেনসন এবং হেজেস কাপে (সেই সময়ের এক দিনের বিশ্বকাপ পরিচিত ছিল এই নামে) প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ৪৫ ওভারে (বৃষ্টির জন্য ওভার কমে গিয়েছিল) গ্রাহাম গুচের দল ২৫২ রান তোলে। গ্রেম হিক ৯০ বলে ৮৩ রান করেছিলেন। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৪২.৫ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল ২৩১/৬। এমন সময় বৃষ্টি নামে। সেই সময় জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১৩ বলে ২২ রান। কিন্তু বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হতে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১ বলে ২২ রান।
সিডনির বিশাল স্কোরবোর্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য ১ বলে ২২ রান লেখা স্মরণীয় হয়ে রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে ওই ছবিটি বিখ্যাত হয়ে রয়ে গিয়েছে। সেমিফাইনাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায় মন ভেঙে দিয়েছিল সমর্থকদের। সে বারের বিশ্বকাপে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন জন্টি রোডস। কিন্তু সেমিফাইনালে থেকেই বিদায় নিতে হয় তাঁদের।
বৃষ্টির জন্য লক্ষ্য ১ বলে ২২ রান হওয়া যে অবাস্তব তা মেনে নিয়েছিলেন অনেকেই। সেই সময়কার নিয়ম অনুযায়ী যদিও কিছু করার ছিল না। এখনকার ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়ম মানা হলে দক্ষিনা আফ্রিকার সেই ম্যাচে লক্ষ্য হত ১ বলে ১২ রান। সেটাও যে সম্ভব ছিল না নয়।
সিডনির মাঠে ৩০ বছর পরেও বৃষ্টি কঠিন করে দিল দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ। যদিও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে হয়নি। পরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জিতলেই সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy