ইংল্যান্ড সফরে খেলার পর থেকে ভারতীয় দলের বাইরেই ছিলেন শামি। —ফাইল চিত্র
শেষ মুহূর্তে ভারতীয় দলে নেওয়া হয় মহম্মদ শামিকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে যশপ্রীত বুমরা ছিটকে যেতেই তাঁকে দলে নেওয়ার কথা ওঠে। কিন্তু করোনার জন্য অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ় খেলতে পারেননি। এর পরেও শামিকেই বেছে নেওয়া হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য। শামি জানিয়েছেন যে, তিনি তৈরিই ছিলেন।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতের হয়ে এই ধরনের ক্রিকেটে খেলেননি শামি। আবার সেই সুযোগ আসে এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ের পর শামি বলেন, “পুরোটাই নির্ভর করে প্রস্তুতির উপর। আর আমাদের দল সব সময় তৈরি থাকতে বলে। সেই কারণে দলের যখন দরকার, তখনই ডেকে নিতে পারে। আমার ভিডিয়োগুলো যদি দেখেন তা হলে বুঝবেন যে, আমি প্রস্তুতির মধ্যেই ছিলাম। সব সময় অনুশীলন করেছি।”
ইংল্যান্ড সফরে খেলার পর থেকে ভারতীয় দলের বাইরেই ছিলেন শামি। দলে নেওয়া হলেও খেলা হয়নি অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। শামি বলেন, “লাল বল থেকে সাদা বলের ক্রিকেটে নেমে পড়াটা সহজ নয়। দলের সঙ্গে তোমার যোগাযোগ কতটা, তার উপর নির্ভর করে অনেক কিছু। হ্যাঁ, আমি গত বিশ্বকাপের পর আবার এ বছর বিশ্বকাপে খেলছি। এটার জন্য এক জন ক্রিকেটারের আত্মবিশ্বাস লাগে। বলের রং বদলের চেয়েও সেটা গুরুত্বপূর্ণ। অনুশীলন তো অবশ্যই প্রয়োজন।”
এ বারের বিশ্বকাপে শামি মাঝের দিকে বল করছেন। নতুন বলে শুরু করছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁকে শুরুতে এবং মাঝের দিকে বল করতেই দেখা যায়। শামি বলেন, “এটা অভিজ্ঞতা। আমি সব সময়ই তৈরি। ম্যাচে আমি নতুন বলে বল করছি। কিন্তু অনুশীলনে কিছুটা পুরনো বলেই বল করি। ম্যাচে তার থেকে কিছু সাহায্য পেতে পারি। আত্মবিশ্বাস দেয় যে কোনও সময় বল করার জন্য। নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। যে কোনও পরিস্থিতিতে বল করার সময় শান্ত থাকতে হবে। অভিজ্ঞতা থাকলেই সেটা সম্ভব। বল ভিজে গেলে মাথায় অনেক রকমের ভাবনা আসে। সব থেকে বড় চিন্তা হয় যে, ঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে পারব কি না। এর মাঝেও নিজেকে শান্ত রাখতে হয়।”
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আরশদীপ সিংহকে শেষ ওভারে বল দেওয়া হয়। সেই সম্পর্কে শামি বলেন, “২০ রান বাকি ছিল। রোহিত শর্মাই ঠিক করেছিল কাকে বল দেওয়া হবে। তরুণদের দিকে তাকাতে চাইছিল ও। আরশদীপ খুব ভাল ইয়র্কার করে। সেই কারণেই অধিনায়ক ওর আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াতে চেয়েছিল।”
গত বছর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের পর শামিকে নেটমাধ্যমে আক্রমণ করা হয়েছিল। সেই বিষয়ে শামি বলেন, “সত্যিকারের ভক্তরা কখনও পাশ থেকে সরে যান না। এক রাতে তারা হিরো থেকে জিরো বানিয়ে দেন না। সত্যিকারের ভক্তরা খারাপ, ভাল সব সময়ই পাশে থাকেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy