বাবর না বাটলার, শেষ হাসি থাকবে কার মুখে? ছবি: টুইটার
প্রথম দু’টি ম্যাচে হার। তার মধ্যে আবার একটিতে জ়িম্বাবোয়ের মতো গ্রুপের অন্যতম দুর্বল দলের কাছে। তার পরেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে যাওয়া অবিশ্বাস্যের থেকে কম নয়। বাবর আজমের দল মনে পড়িয়ে দিয়েছে ইমরান খানের সেই ১৯৯২ বিশ্বকাপের কথা। প্রতিযোগিতার জায়গায়, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের প্রতিপক্ষ এবং শেষ মুহূর্তে পাকিস্তানের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন, সবেতেই সেই বিশ্বকাপের সঙ্গে তাদের মিল রয়েছে। কিন্তু ইমরান খান কি হতে পারবেন বাবর? নাকি অইন মর্গ্যানের পর এ বার জস বাটলারের হাত ধরে আবার নবজন্ম হবে ইংল্যান্ডের?
প্রতিযোগিতার প্রথম সপ্তাহ খুবই খারাপ যায় পাকিস্তানের। ট্রফি জয়ের অন্যতম ফেভারিট হিসাবে শুরু করেও ভারত এবং জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে হোঁচট খায় তারা। বাকি ম্যাচগুলিতে নেদারল্যান্ডস এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায়। তাতেও শেষ চার নিশ্চিত ছিল না। কিন্তু প্রোটিয়ারা নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে যাওয়ায় আচমকাই একটা দরজা খুলে যায় পাকিস্তানের সামনে। বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় তারা। সেমিফাইনালে অনায়াসে উড়িয়ে দেয় নিউজ়িল্যান্ডকে।
পাকিস্তানের যেমন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভাল স্মৃতি, তেমনই ইংল্যান্ডের খারাপ স্মৃতি জড়িয়ে। অ্যাশেজ না হয় বাদই দেওয়া গেল। ২০১৫ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে এই অস্ট্রেলিয়াতেই গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যায় তারা। তার পরেই অইন মর্গ্যানের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের পুনরুত্থান হয়। সম্পূর্ণ অন্য ধরনের আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে থাকে তারা। টেস্ট এবং সীমিত ওভারকে আলাদা করে ফেলা হয়। আগ্রাসনই এখন ইংল্যান্ডের মূলমন্ত্র। মর্গ্যানের অবসরের পর যা ধরে রেখেছেন জস বাটলার। ভারতের বিরুদ্ধে তাদের জয় দেখে সেটাই বোঝা গিয়েছে।
ইংল্যান্ডের পক্ষে চিন্তা হল, মার্ক উড এবং দাভিদ মালানকে নিয়ে অনিশ্চয়তা। ভারতের বিরুদ্ধে খেলেননি দু’জনেই। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কি পাওয়া যাবে? বাটলার কোনও উত্তর দিতে পারেননি। তবে বিকল্প যে দু’জন ইংল্যান্ডের হাতে রয়েছে, তাঁরাও পাকিস্তানকে বেগ দিতে পারেন।
ম্যাচের আগে বাবর বলেছেন, “চিন্তার থেকে আমি বেশি উত্তেজিত। চাপ একটা রয়েছেই। তবে আত্মবিশ্বাস থাকলে সেটা অনুভূতই হবে না। ভাল ফলের জন্যে সেটা দরকার। ইংল্যান্ড শক্তিশালী দল। ভারতের বিরুদ্ধে ওদের দাপুটে জয়ই সেটা প্রমাণ করেছে। কিন্তু আমরা পরিকল্পনা থেকে সরছি না। জোরে বোলারদের নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। সেটা প্রয়োগ করেই ইংল্যান্ডকে হারাতে চাই।”
ম্যাচের আগে বাটলার সাফ বললেন, তাঁরা যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারেন, তা হলে নিঃসন্দেহে ইংল্যান্ডের ফুটবল দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারবেন তাঁরা।
ক্রিকেটের সাফল্য থেকে কি অনুপ্রাণিত হতে পারে ফুটবল? এই প্রশ্নে বাটলারের উত্তর, “মনে হয় তাই। খেলাধুলো ইংরেজদের সংস্কৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বিশ্বকাপে দলের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে তাদের তুলনা নেই। আমরা বিশ্বের অন্য প্রান্তে রয়েছি ঠিকই। কিন্তু সেই সমর্থন পাচ্ছি। তাই আমাদের জয় ওদের অনুপ্রাণিত করতেই পারে।”
ইংল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল আটটায় খেলা শুরু। বাটলারের মতে, খুব বেশি লোক হয়তো ট্রাফালগার স্কোয়্যারে একসঙ্গে খেলা দেখতে জড়ো হবেন না। কিন্তু বাড়িতে অবশ্যই টিভি খুলে বসবেন। যে হেতু টিভিতে বিনামূল্যে খেলা দেখা যাবে। এমনিতে ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমে ফুটবলের প্রচার যতটা বেশি, ক্রিকেটে তাঁর ছিটেফোঁটাও নেই। তাই বাটলার বলেছেন, “ইউরোতে ফুটবল দলকে নিয়ে মাতামাতি দেখেছি। ফুটবলের সঙ্গে আমাদের দেশে কোনও কিছুরই তুলনা চলে না।” পর ক্ষণেই বাটলারের মন্তব্য, “বিনা খরচে টিভিতে খেলা দেখা যাবে। আশা করি নতুনরাও খেলা দেখতে চাইবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy